জীবননগর ফিলিং স্টেশনে ফিল্মস্টাইলে ডাকাতি : দুটি বোমার বিস্ফোরণ

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগরের জীবননগর ফিলিং স্টেশনে গতরাত ২টার দিকে ফিল্মস্টাইলে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল দু নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ক্যাশ লুটের পর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে কতো টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতদল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সংশ্লষ্টসূত্র বলেছে, লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়েছে ডাকাতদল।

ঘটনার পরপরই তেল পাম্পের নিকটস্থ বিজিবি ফাঁড়ির সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। টহল পুলিশ পৌঁছায় কিছুক্ষণ পর। পুলিশ ও বিজিবি ডাকাতদলের পিছু নিলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডাকাতদলের তেমন কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ডাকাতি করা টাকাও উদ্ধার করা যায়নি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জীবননগর-কোটচাঁদপুর সড়কে জীবননগর ফিলিং স্টেশনটি মরহুম ইউসুফ আলী গেন্দু মিয়ার স্থাপিত। গেন্দু মিয়া মারা গেলে তার ছেলেরাই তেলপাম্পটি পরিচালনা করেন। তেলপাম্পটির অদূরেই বিজিবি ফাঁড়ি। গতরাত আনুমানিক ২টার দিকে একদল ডাকাত হানা দেয়। প্রথমেই দু নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ফেলে। তেলপাম্পের অফিস ঘরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে টাকা লুট করে পালানোর সময় চিৎকার করেন ফিলিং স্টেশনের কয়েকজন। প্রতিরোধের আশঙ্কায় ডাকাতদল পর পর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার শব্দে নিকটস্থ বিজিবি ফাঁড়ির সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর টহল পুলিশও পৌঁছায় তেলপাম্পে। বিজিবি ও পুলিশ পৌঁছুলেও ডাকাতদল সকটকে পড়ে। রাতেই ডাকাতদল গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হয়।

ঘটনার পর জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডাকাতদলের হানা ও বোমা বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করে বলেন, ডাকাতদল ফিলিং স্টেশনে হানা দিলেও টাকা নিতে পারেনি। সাথে সাথে পুলিশ দল সেখানে পৌঁছুনোর কারণে ডাকাতদল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।