দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা জয়রামপুরের মন্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামি ক্ষ্যাপা খুনি আলমগীরকে দু দিনের রিমান্ডে নিয়েছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান তাকে দুদিনের রিমান্ডে দামুড়হুদা থানায় নিয়ে আসেন এবং বিকেলে আলমগীরকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার আমজাদ ও মন্টুকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যাসহ চৌধুরীপাড়ার আবুল কাশেম, বারুইপাড়ার বুদো ও তার স্ত্রী রহিদা এবং ডাক্তারপাড়ার মোফা ও তার শিশু মেয়ে খোদেজাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ মামলায় অন্য আসামিদেরকেও পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে খুন করা হয় জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আমজাদকে। এরপর ২৪ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে একই পাড়ার দোকানি আবুল কাশেমকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এরপর ২৫ এপ্রিল রাতে জয়রামপুর বারুইপাড়ার ভাজা বিক্রেতা বুদো ও তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এরপর গত ৪ মে রাতে জয়রামপুর ডাক্তারপাড়ার পাপড় বিক্রেতা দরিদ্র মোফা ও তার শিশুকন্যা খাদিজাকে ঘুমন্ত অবস্থায় নিজ ঘরের বিছানায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দুর্বৃত্তরা। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে একই কায়দায় কুপিয়ে একজনকে খুনসহ রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে ৩ জনকে।
একের পর এক কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করলেও ভেটে গোছের ব্যক্তিকে পুলিশ কেন ধরতে পারছে না এ প্রশ্ন স্থানীয়দের মাঝে তীব্রতর হয়ে উঠে। এরই মাঝে গত ৬ মে রাতে জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার জলাশয়ের নৈশপ্রহরী মন্টুকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে রাতেই মডেল থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে জয়রামপুর গ্রামে অভিযান পরিচালিত হয় এবং মন্টু হত্যার প্রধান আসামি জয়রামপুর ডাক্তারপাড়ার আলমগীরসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। আটক ৫ জনকেই আদালতে সোপার্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।