ঝিনাইদহ অফিস: ‘সংস্কৃতি আর প্রযুক্তি, দুইয়ে মিলে উন্নতি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে ৩ দিনব্যাপি ডিজিটাল মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে। গতকালবুধবার সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাড. আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ারদার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এনজিওকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ মেলায় ৩০টি স্টলে অনলাইন কুইজ, ই-সেবা সংক্রান্ত প্রামান্য অনুষ্ঠান, আউট সোর্সিং সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আইটি ক্লাব অংশ নেয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি জণগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ায় শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী প্রিন্স ও সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ‘তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিজ্ঞান মনস্তকায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় একমাত্র উপায়’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ঝিনাইদহ নুরুন্নাহার মহিলা কলেজে হারিয়ে সরকারি কেসি কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ই-সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রশাসনিক সুবিধার পাশাপাশি পরচা উত্তোলন, মুঠোফোনের মাধ্যমে বিদ্যুত ও গ্যাস বিল প্রদান, টাকা আদান-প্রদান, রেলওয়েরর টিকিট কাটা, চিকিৎসা-সহায়তা গ্রহণসহ নানামুখি সেবা পাচ্ছেন। দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য মানসিকতা পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ মেলা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে জনগণকে উৎসাহ যোগাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।