মাথাভাঙ্গা মনিটর: একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৯ রানেহারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয়ের নায়ক শেষ দিকে ‘ঝড়’তোলাথিসারা পেরেরা ও তিন উইকেট নেয়া অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। গত মঙ্গলবার কেনিংটন ওভালে টসহেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান করে শ্রীলঙ্কা।২৪ রানে দু উদ্বোধনীব্যাটসম্যান তিলকরত্নে দিলশান ও কুশাল পেরেরার বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নিশ্রীলঙ্কার।তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত কিথুরুয়ান ভিথানাগের সাথে ৫৪ রানের জুটিগড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন লাহিরু থিরিমান্নে (৪০)। ৩৭ বল স্থায়ীজুটিতে ভিথানাগের অবদান ৩৮ রান।এরপর নেতৃত্ব হারানো দীনেশ চান্দিমাল ওওয়ানডে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দ্রুত বিদায়ে আবার অস্বস্তিতে পড়ে অতিথিরা।১৫ ওভার শেষে দলটির স্কোর দাঁড়ায় ১২২/৫।সেখান থেকে দলকে দুইশ’ রানেরকাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব ম্যাচ সেরা থিসারার। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিঙে শেষ৩০ বলে ৬১ রান যোগ করে অতিথিরা।মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতক থেকে বঞ্চিতহওয়া থিসারার (৪৯) ২০ বলের ইনিংসে ছিলো ৭টি চার ও ২টি ছক্কা।ইংল্যান্ডেরপক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার হ্যারি গারনে। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি এপেসার।
জবাবে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।লক্ষ্যতাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। এক প্রান্তে আলেক্স হেলস অবিচলথাকলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়েস্বাগতিকরা।হেলস ও জস বাটলারের দৃঢ়তায় ১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিলোঅতিথিদের সমান ১২২। স্বাগতিকরা হারিয়েছিলো অতিথিদের চেয়ে এক উইকেট কম-চারটি।কিন্তু শেষ ৩০ বলে ৫২ রানের বেশি নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৯তম ওভারেবল করতে এসে মাত্র ৪ রান দিয়ে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেনমালিঙ্গা।সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন হেলস। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিলো ৭টি চার ও ২টিছক্কা। এ রান করার পথে সবচেয়ে কম ইনিংসে (৩২) টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার করার কেভিনপিটারসেনের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি।শেষ দিকে চেষ্টা করেছিলেন রবি বোপারা (অপরাজিত ২৮)। কিন্তু ৯ রানের ব্যবধান আর ঘুচাতে পারেননি।মালিঙ্গা ৩ উইকেটনেন ২৮ রানে।ম্যাচ সেরা:থিসারাপেরেরা।