বেগমপুর প্রতিনিধি: সীমানা পাঁচিল নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা গাছ বিক্রির প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাছ বিক্রির প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। গাছ বিক্রির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ পেশ করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছে।
এলাকবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ এবং শ্রী বৃদ্ধির জন্য ১৪ বছর আগে বিদ্যালয়ের সীমানায় শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু ফলদ ও বনজ গাছ লাগায়। অভিযোগ উঠেছে বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সীমানা পাঁচিল নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে নজর দেন বিদ্যালয়ের গাছের দিকে। গাছ কাটার জন্য ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যরা রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি আবেদন করেছেন। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করা হচ্ছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জনমনে সৃষ্টি হয় চাপা ক্ষোভ। কারণ এ গাছগুলো এদিকে যেমন বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে তেমনি তীব্র দাবদাহে অবসর সময়ে শিক্ষার্থীরা গাছের ছায়াতলে বসে নেয় বিশ্রাম। আর সেই গাছগুলো কাটার পাঁয়তারা করছেন কমিটির লোকজন। বিদ্যালয়ের গাছগুলো রক্ষা করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর গণপিটিশন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানান। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি উপেক্ষা করে যদি গাছগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন কমিটির লোকজন তাহলে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে সচেতনমহল। সংঘর্ষ এড়াতে বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, গাছগুলো বিদ্যালয়ের না,রেওয়াজ করা জমির গাছ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার বাদীপক্ষের আপত্তি না থাকায় গাছগুলো বিক্রি করে বিদ্যালয়ের সীমানা পাঁচিল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি মাত্র।