বকেয়া বিল পরিশোধের দাবিতে ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদারদের বিক্ষোভ

 

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদাররা বকেয়া বিল পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকালরোববার দুপুরে সড়ক ও জনপথ ভবনের সামনে ঠিকাদার সমিতি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি অফিস চত্বর প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে সড়ক ভবনের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঠিকাদার সমিতির আহ্বায়ক অশোক ধর, ঠিকাদার সোহরাব হোসেন, রাসিদুর রহমান রাসেল, বাবুল আজাদ, মোমিনুর রহমান খুশি, আতিকুল হাসান মাসুম, আবদুল হাকিম, রফিকুল আলম, কাজী কামাল আহমেদ বাবু, ওবাইদুর রহমান, মাসুদুর রহমান মানিক।

সমাবেশে ঠিকাদাররা বলেন, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদারদের গত ২০১০ অর্থ-বছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের ৭ কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিল পাওনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অফিসটিতে ধর্ণা দিয়েও তারা পাওনা টাকা পাচ্ছে না। ফলে ঠিকাদাররা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে ধার-দেনা করে সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছে। তাই তারা তাদের পাওনা টাকা আদায়ের জণ্য দুপুর ১টার দিকে সড়ক ও জনপথ কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে।ঠিকাদাররাতিনদিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, মঙ্গলবার সকালে ১ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট, বুধবার এক ঘণ্টা প্রতিকী অনশন ও পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক ও জনপথ ভবন অবরুদ্ধ করা হবে।

অন্যদিকে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় অফিসের প্রধান সহকারী নজরুল ইসলাম বিজ্ঞাপণ বাণিজ্য শুরু করেছেন। সড়ক বিভাগের টেণ্ডারের বিজ্ঞাপন কমিশনের বিনিময়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় সরবরাহ করছেন। যে সব অখ্যাত পত্রিকায় এ অফিসের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় বাজারে তার কোনো অস্তিত্ব নেই।

এদিকে সওজ’র ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের সমস্যা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মচারীরা ঘণ্টাব্যাপি কর্মবিরতি পালন করেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়ক ভবন চত্বরে এ কর্মবিরতি চলে। কর্মবিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন-সড়ক ও জনপথ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবদার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম খান, শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কাজী আতিয়ার রহমান, মোফাজ্জেল হোসেন। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের অন্যান্য কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।