চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের নাশকতা বিরোধী অভিযান : পুলিশ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করেছে মামলা
দামুড়হুদা অফিস/প্রতিনিধি: দামুড়হুদা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যানপ্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ এ তথ্য দিয়ে বলেছে, গ্রেফতারের সময় তার নিকট থেকে ২টি শাটারগান, ৪টি ককটেল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৭টি জেহাদি বই ও শতাধিক লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমান বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াতে ইসলামী নেতা মিল্টনের দামুড়হুদা গুলশানপাড়াস্থ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গোপন বৈঠকে উপস্থিত থাকা আনুমানিক ২০-২২ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৭-১৮ জনের নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার পরপরই জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুগ্মসম্পাদক রুহুল আমিন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিল্টনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ষড়যন্ত্রমূলক তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমাসহ নিষিদ্ধ বই পুস্তক উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ প্রচার করে।
পুলিশ বলেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির সদর ইউপি চেয়ারম্যান মৃত আনছার আলীর ছেলে আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তার গুলশানপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে সরকারবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ২০-২২ জন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গোপন বৈঠকে উপস্থিত থাকা ২০-২২ জন পালিয়ে গেলেও মিল্টনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকালে তার বাড়ি তল্লাশি করে ২টি শাটারগান, ৪টি ককটেল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৭টি জেহাদি বই ও শতাধিক লিফলেট পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৭-১৮ জনের নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত মিল্টনকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান জানান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শরীফুল আলম মিল্টনকে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে অস্ত্র, গুলি, বোমা ইত্যাদি উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। সারাদেশে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে এটা তারই একটা অংশ।
শরীফুল আলম মিল্টন দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ কলেজের শিক্ষক। তিনি দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান। তাকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।