আলেয়ার বাড়িতে মোহাম্মদ আলীর বিয়ের প্রস্তাব

বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘদিন দেহভোগের অভিযোগ :আজ লোকমার্চার অফিসে সালিসের আয়োজন

 

স্টাফ রিপোর্টার: মোহাম্মদ আলী অবশেষে আলেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বলে এলাকার মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। গতরাতে আলেয়ার বাড়িতে মোহাম্মদ আলী লোক মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, মোহাম্মদ আলী আবারও বিয়ের নতুন নাটক সাজাতে যাচ্ছে- এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। এরই মধ্যে মোহাম্মদ আলী পিতাসহ অপহরণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করলেও সে কথা বিশ্বাস করাতে পারেনি কারো।

গত শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার একটি দল সরেজমিনে আলেয়াকে আইনি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেয়। আজ সোমবার দুপুরে সালিসের আয়োজন করা হবে বলে জানা যায়। সেখানে মোহাম্মদ আলী দোষ স্বীকার করলে বিয়ের আয়োজন করা হতে পারে। বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘদিন দেহভোগের শিকার আলেয়া সামাজিক স্বীকৃতি পেতে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বেঁকে বসে মোহাম্মদ। প্রথমে মোহাম্মদ আলীসবকিছু অস্বীকার করলেও অবশেষে লোকমোর্চার পাশে দাঁড়ানোর কথা জানতে পেরে মোহাম্মদ আলীরপাশ থেকে বুদ্ধিদাতারা একে একে সরে দাড়িয়েছে বলে এলাকায় দিনভর জোরগুঞ্জন শোনা যায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া বাইনেগাড়ি পাড়ার আলা উদ্দিনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে এক সন্তানের জননী আলেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, ১৫ মাস আগে হিজলগাড়ি বাজারের ইলেকট্রিক ও গান ডাউনলোড ব্যবসায়ী আমির হোসেনের ছেলে এক সন্তানের জনক মোহাম্মদ আলী সংবাদিক পরিচয়ে মোবাইল নম্বর নেয়ার অজুহাতে সম্পর্ক গড়ে তোলে আমার সাথে। এক পর্যায়ে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে আলেয়ার নিকট বিয়ের আগে সবকিছু পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে মোহাম্মদ আলী। বুদ্ধিমতি আলেয়া বিয়ের আগে সম্ভব না বলে জানিয়ে দেন। তর আর সইতে না পেরে সম্পর্কের ৭ মাসের মাথায় মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজায় মোহাম্মদ আলী। সেই থেকে বিয়ের কথা প্রকাশ না করার শর্তে রাতের আঁধারে স্বামী সেজে আলেয়াদের বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে। বিদিবাম সপ্তাখানেক আগে ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক স্বীকৃতির জন্য আলেয়া মোহাম্মদ আলীকে চাপ দিলে সে সব বীরদর্পে অস্বীকার করতে থাকে। এ নিয়ে পত্রিকায় ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশিত হলে পাশে গিয়ে দাঁড়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চা। এরই মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের ফাঁসাতে মোহাম্মদ আলী পিতাসহ অপহরণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করলেও সে কথা বিশ্বাস করাতে পারেনি কারো। প্রশ্ন উঠেছে মোহাম্মদ আলী ও তার পিতাকে গত শনিবার রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যারা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়েছিলো তারা কারা। মোহাম্মদ আলীকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে সচেতনমহল মনে করছে। যদি অপহরণের নাটক ঠিকমতো সাজাতে পারতো তাহলে অনেককেই মিথ্যা হয়রানির শিকার হতে হতো। বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।