উদ্ধার কার্যক্রম শেষ: ৫৬ লাশ উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়ালঞ্চ এমভি মিরাজ ৪ উদ্ধার হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর ৫৫টি লাশ পাওয়া গেছে, যারমধ্যে পরিচয় মিলেছে ৫৬ জনের।অপরলাশটি উদ্ধার করা হয় অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, যারপরিচয় পাওয়া যায়নি।এরআগে গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ৩টায়জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল সংবাদ ব্রিফিঙে উদ্ধার কাজের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুরের কাছে ঝড়ে মেঘনা নদীতে প্রায়আড়াইশ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ঢাকা থেকে শরীয়তপুরগামী লঞ্চ এমভি মিরাজ ৪।আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার সময় জেলা প্রশাসকবলেন, এখনো সাতজন নিখোঁজরয়েছে। সকল নিখোঁজদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন মেঘনা নদী ও এর আশপাশে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবে।এর আগে সকাল ৯টায় লঞ্চটি তীর থেকে ২০ গজ দূরে কাত হয়ে থাকা অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএচেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করলে বিক্ষুব্ধজনতা উদ্ধারকারীজাহাজ প্রত্যয়ে হামলা চালায়।পরেস্থানীয় সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান অব্যাহতরাখার আশ্বাস দিলে পরিস্থতি শান্ত হয়।জেলাপ্রশাসনের হিসাবে নিখোঁজ সাতজন হলেন মাদারীপুরের কালকিনিউপজেলার দরিচর গ্রামের প্রয়াত ফালান সরদারের ছেলে আনসার উদ্দিন সরদার (৬০), শরীয়তপুরের নড়িয়ার ব্রজেশ্বরেরনূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মূসা শেখ (২৬), মগর গ্রামের প্রয়াত মগবুল ছৈয়ালেরদুই ছেলে আবু কালাম ছৈয়াল (৪৫) ও রাজিব ছৈয়াল (২২),  দক্ষিণ চাকধ গ্রামেরপ্রয়াত আবু কালাম চৌকিদারেরছেলে মো. সজিব চৌকিদার (২৪), নন্দনসার গ্রামের মো. হাকিম হালদারের ছেলেকাঞ্চন হালদার (৩৫) ও ঢাকার নাবাবগঞ্জের হরিকান্দা গ্রামেরআব্দুল করিমের মেয়ে কল্পনা আক্তার (১৩)।