কেরুজ চিনিকল আধুনিকায়ন করণের লক্ষ্যে প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন

 চলতি বন্ধ মরসুমে শুরু হতে পারে বিএমআরর কাজ

দর্শনা অফিস:এশিয়া মহাদেশের ২য় বৃহত্তম,দেশের সর্ববৃহত্তম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চনের একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকার মানুষের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি কেরুজ চিনিকল। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ মিলটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অফিস,কারখানাও বসাবাসের জন্য যেক’টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছিলো তা এখন বয়সের ভারে নূয্য। ৭৫ বছর বয়সী জরার্জিণ ভবনগুলোই চলছে উৎপাদন,অফিস ও বসবাস। কেরুজ চিনিকল থেকে সরকারের খাতায় ফি বছর শ শ কোটি টাকা জমা পড়ছে। দীর্ঘদিন থেকেই কেরুজ চিনিকলটি আধুনিকায়নের দাবি তোলা হলেও বারবার তা হয়েছে উপেক্ষিত। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সরকার কেরুজ চিনিকলকে বিএমআর করার উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থ বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবীদ আজিজুর রহমান জানিয়েছেন,চলতি বন্ধ মরসুমে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হতে পারে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেরুজ চিনিকল পরিদর্শন করেছেন। করপোরেশনের পরিচালক (পরিকল্পনা) আমিনুল হক ও প্রকল্প পরিচালক শামসুল কবির মিলের কর্তকর্তাদের সাথে নিয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধিদল কারখানা বিভিন্ন পুরোনো যন্ত্রাংশ সরিয়ে কোন কোন স্থানে নতুন মেশিনারিজ স্থাপন করা হবে তা নির্ধারণ করেছেন। আজিজুর রহমান আরো জানান,বিএমটিএস কর্তৃপক্ষ কেরুজ চিনিকল আধুনিকায়নের কাজ করবে। যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হবে ভারতের সাইসিডা কোম্পানি থেকে। চলতি বন্ধ মরসুমে কাজ শুরু করা হলে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবেনা। ফলে আগামী বন্ধ মরসুমে ফের আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন করতে পারে।