আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাথাভাঙ্গা নদীতে অভিযান

আলমডাঙ্গা ইউএনওর দেয়া মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর তোলার ২ দিনের সময় শেষ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বেঁধে দেয়া মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ কোমর তুলে নেবার ২ দিনের সময় শেষ হয়েছে গতকাল। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে অভিযান। অবৈধ কোমর মালিকদের দেয়া সময় শেষ হলেও অনেকেই তড়ি ঘড়ি করে কোমর তুললেও কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ইউএনওর দেয়া সময়কে থোড়ায় কেয়ার করে কোমর তোলেনি। অবৈধ কোমর মালিকদের শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মাথাভাঙ্গা নদীতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নতিডাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে কোমর বাঁধ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। নতিডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ৬-৭টি কোমর বাঁধ তুলে দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাথাভাঙ্গা নদীর অবৈধ কোমর বাঁধ মালিকেদের উদ্দেশেহুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১৩ ও ১৪ মে’র মধ্যে সকল কোমর বাঁধ নিজ খরচে তুলে না নিলে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের জেল-জরিমানা করা হবে।

গতকাল মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর তোলার ২ দিন শেষ হলেও অনেকেই নদী থেকে কোমর তুলে নিয়েছে,আবার অনেকেই আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেয়া ২ দিনের সময় থোড়ায় কেয়ার করছে কেউ কেউ। অধিকাংশ অবৈধ কোমর মালিক নদী থেকে কোমর তোলেনি। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাথাভাঙ্গা নদীতে অভিযান। কোমর মালিকদের জেল-জরিমানা করা হতে পারে।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকার এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে কোমর দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীর স্বাভাবিক স্রোত বাঁধাগ্রস্ত করছে। ফলে নদীর বুকে পড়ছে পলি কাঁদা। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। এমনিতেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় অন্য জেলার তুলোনায় বৃষ্টিপাত কম। এ নদীর কারণে এলাকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। যদি মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর বাঁধ না সরানো হয় তাহলে নদী শুকিয়ে যাবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা মরুভূমিতে পরিনত হবে। এলাকাবাসী অবৈধ কোমর মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কমনা করেছে।