মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার গড়গড়ি গ্রামে বিধবাকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় দুমহিলা চুলোচুলি করেছে। গ্রাম্য সালিস ডেকে বৈঠক করার সময় সংঘর্ষে মহিলাসহ ২ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামে সালিস বৈঠক চলাকালে সংঘর্ষে মহিলাসহ দুজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ময়নার স্বামী আমির আলী মারা যান গত ১২ বছর আগে। সেলাইয়ের কাজ করে তিন মেয়ে সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করেন। এরই সুযোগ নিয়ে গত পরশু গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা রেক্সোনা তাকে দেহ ব্যবসার প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনায় ময়না ও রেক্সোনার মধ্যে হাতাহাতি হয়। ময়নার দাঁত ভেঙে যায়। এরই জের ধরে ময়না গ্রাম্য মাতবরদেরশরণাপন্ন হলে গত রাত ৮টার দিকে গ্রামে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিসে ময়না তার অভিযোগ মাতবরদের কাছে তুলে ধরলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রেক্সোনাকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদের দাবিকরে কেউ কেউ। এ সময় রেক্সোনা, দু মেয়ে তমা, তন্নি, অমূল্যের স্ত্রী রোজিনা, ছেলে ওহিমিদ্দন, মহির, মিনাসহ কয়েকজন ময়না ও তার মেয়ের ওপর চড়াও হয়। তাদের পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। উত্তেজিত গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে রেক্সোসাসহ তার লোকজনকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। গ্রামজুড়ে চলতে থাকে উত্তেজনা। সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ব্যাপারে রেক্সোনা জানান, আমি কাউকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা।