মাথাভাঙ্গা মনিটর: মেদবহুল পেট, পেট ফাঁপা নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণহতে পারে। যারা একটু স্থূলকায়, তাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগেআক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিটাও বাড়তে থাকে সমানুপাতিক হারে। আপনার মনে হতে পারে, পরিশ্রম তো কম করছি না, তারপরও পেট নিজের ইচ্ছেমতোই বাড়ছে। আসলে আপনার পেটআপনারই নিয়ন্ত্রণে। আপনার শুধু প্রয়োজন একটি সুষম খাদ্য-তালিকা তৈরি করাএবং সেটা সুশৃঙ্খলভাবে অনুসরণ করা। হাঁটা, সাইক্লিং ও নিয়মিত শরীরচর্চারপাশাপাশি খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে ও পটাসিয়ামসমৃদ্ধ আঁশ জাতীয় খাবারআপনাকে দিতে পারে মেদহীন পেট। নিচে পেট কমাতে যা খাবেন ও যা খাবেন না, সেসম্পর্কে কয়েকটি পরামর্শ দেয়া হলো:
লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন:খাবারে লবণের পরিমাণ যথাসম্ভব কমিয়ে দিন। তবে প্রয়োজনীয় আয়োডিনটাও শরীরকেদিতে হবে। তাই লবণ খাওয়াটা একটি পরিমিত মাত্রায় নিয়ে আসুন। কাঁচা লবণ খাবেননা। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ রান্না করা খাবারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫০০মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণ খেতে পারেন।
ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড বাদ দিন:কখনোই ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার খাবেন না। কারণ, প্রক্রিয়াজাতখাবার আপনার শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আপনার শরীরটাকে স্থূলকায় করতেও ভূমিকারাখে ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড। তাছাড়া নানাবিধ ও ভয়াবহ সব স্বাস্থ্য ঝুঁকিরকারণও প্রক্রিয়াজাত এসব খাবার।
তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন:বাইরের তেলে ভাজা খাবার তো নয়ই, বাড়িতেও যথাসম্ভব তেলে ভাজা খাবার খাওয়ারপরিমাণ কমিয়ে দিন। রমজান মাসে খাবার তালিকায় ১ বা ২ দিন তেলে ভাজা খাবাররাখতে পারেন।
কোমল পানীয় রাখুন বাদের তালিকায়:যেকোনোকোমল পানীয় আপনার স্বাস্থ্যের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।হাড়ের ক্যালসিয়াম, দাঁতের এনামেল ক্ষয় থেকে শুরু করে ক্যান্সারের কোষপর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে কোমল পানীয়। আর একই সাথে আপনার মুটিয়ে যাওয়ারঅন্যতম কারণও কোমল পানীয়। তাই কোমল পানীয় চিরতরে পরিত্যাগ করুন। এরপরিবর্তে পান করুন বাড়ির ফিল্টারের সুপেয় পানি, ডাবের পানি ও ফলের জ্যুস।
আঁশসমৃদ্ধ খাবার বেশি খান:দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি পেট ফাঁপারযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই প্রথমেই জেনে নিন কোন খাবারগুলোতে বেশিআঁশ থাকে।
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান:সোডিয়ামযেমন শরীরের পানিকে ধরে রাখে, পটাসিয়াম শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করেদেয়। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কলা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। অবশ্যএকই সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কারণমিষ্টি আলু জাতীয় খাবারে মুটিয়েযাওয়ার কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন:নিজেকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পানি না করলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়।
সাধারণ খাবার খান:যেসব খাবারে চর্বি বা চিনির পরিমাণ বেশি, সেসব খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণেরদিকটা লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনে কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন। সহজে হজম হয়, এ ধরনেরসাধারণ খাবার খান।