স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মেমনগর গ্রামে চোর সন্দেহে মানিক মিয়া (৩২) নামের এক ভিক্ষুককে গাছের সাথে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ওই ভিক্ষুকের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের পর সারা শরীরে জখম ফোলাসহ মুমূর্ষু ওই ভিক্ষুককে সোপর্দ করা হয়েছে দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ।আর এসব করেছে দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দাবিদার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মেমনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে কামরুল হাসান নোমান ও তার অনুসারীরা।
নোমানের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ আগে ভিক্ষুকবেশী চোর বাড়িতে ঢুকে মানিব্যাগ থেকে ১১ হাজার টাকা ও একটি মোবাইলসেট চুরি করে নিয়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে চোরকে ধরতে চেষ্টা চালানো হয়। শনিবার সকালে দর্শনা কাস্টমস কলোনির বাসিন্দা ভিক্ষুকরূপী মানিক চুরির জন্য বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে ধরে ফেলা হয়। ধরার পর সে স্বীকারও করে যে, চুরির জন্যই বাড়িতে ঢুকেছিলো। তবেমানিক এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমি দর্জির কাজ করতাম। বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ করা যায়না,তাই ভিক্ষা করি। ভিক্ষার জন্য বাড়ির দরজার ভেতরে গেলে চোর সন্দেহে আটক ও গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। অথচ, ওই বাড়িতে এরআগে কখনই আসিনি। আর আমি চুরির সাথেও জড়িত নই। ভিক্ষা করেই সংসার চালাই।’
এদিকেগতকাল শনিবার মানিক মিয়াকে দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে সোপর্দ করা হলে তাকে নিয়ে পুলিশ বিপাকে পড়ে। সোপর্দ করার পর তদন্তকেন্দ্রের হাজতে পায়খানা-প্রস্রাব করে পাকিয়ে ফেলে। বেগতিক অবস্থায় তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান তাকে হাজত থেকে ছেড়ে দেন এবং সুইপার দিয়ে হাজত পরিষ্কার করান।জানতে চাইলে এসআই মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোনো লিখিত অভিযোগ ছাড়াই মানিক মিয়াকে সোপর্দ করা হয়েছিলো। খোঁজখবর নিয়ে তাকে সন্ধ্যার পরে ছেড়ে দেয়া হয়।