সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি:বাড়ি থেকে অস্ত্রে মুখে অপহৃত কৃষককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গা মহাম্মদজমার সলামত বাজারপাড়ার বাড়ি থেকে তাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা চরম অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন। এদিকে অপহৃত কৃষক আইনালকে উদ্ধার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাম্মদজমা সালামত বাজারপাড়ার পরই বিশাল মাঠ।এ মাঠের পরই ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা অপহরকচক্র দু জেলার সীমান্ত এলাকার কয়েকটি গ্রামে অবস্থান করে।চুয়াডাঙ্গা জেলা এলাকায় অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়ে মাঠ মাড়িয়ে পাশের জেলায় অবস্থান করে।একইভাবে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডুতে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়ে চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী গ্রামে আত্মগোপন করে। এছাড়া চারাতলার মাঠে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। মাঝে মাঝে দু জেলার সম্মিলিত অভিযান অপরাধীদের কোণঠাসা করে তোলে।অভিযানে সমন্বয়হীনতা দেখা দিলেই সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর,আলমডাঙ্গার খাসকররা জামজামি ইউনিয়নের সাথে রয়েছে ঝিনাইদহ জেলা সদর ও হরিণাকুণ্ডুর সীমান্ত এ এলাকায় রয়েছে একাধিক চাঁদাবাজ ও অপহরক গ্যাং।
গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাম্মদজমা সালামত বাজারপাড়ার কৃষক আইনাল হককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। গত দু দিনে অপহৃতের সন্ধান মেলেনি। তাকে উদ্ধারে চুয়াডঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল কামরুজ্জানের নেতৃত্বে নানামুখি তৎপরতা শুরু করেন। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার খলিলুর রহমান,সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সেকেন্দার আলী,শুম্ভুনগর ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই গাজিউর রহমান ও কুতুবপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই রবীন্দ্রনার্থ সঙ্গীয়। এছাড়া ঝিনাইদহ ৱ্যাব-৬ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অপহৃত কৃষক আইনাল হক (৪৫) চুয়াডাঙ্গা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাম্মদজমা সালামত বাজারপাড়ার মৃত আজগার আলীর ছেলে।