স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার উম্বাদ বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিতে লাখ লাখ টাকার অর্থবাণিজ্য করছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। সভাপতির মেয়াদ প্রায় ফুরিয়ে আসার কারণে পছন্দের প্রার্থীদেরকে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিতে চান তারা। আজ সকালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে অভিযোগকারীরা বলছেন অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হলে আদালতে মামলা করা হবে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের উম্বাদ বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক, একজন পিয়ন ও দুজন সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। গত ৬ মে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য থাকলেও তা হয়নি। পরবর্তীতে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী আজ বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু অভিযোগকারীরা বলছেন অন্য কথা। তাদের অভিযোগ বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান ও প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন লাখ লাখ টাকা নিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। স্কুলম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে সভাপতি আসাদুজ্জামান নিয়োগ পরীক্ষাটা শেষ করে যেতে চান।
অভিযোগকারীরা জানান, সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে মজলিশপুর গ্রামের মিনারুল ইসলামকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষক হিসেবে লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান হাসান ও ইব্রাহিমপুরের এক মহিলা নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। এদের কাছ থেকেও নেয়া হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর গ্রামের স্বপন আলীকে পিয়ন হিসেবে নিয়োগ দিতে নেয়া হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। লক্ষ্মীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মাথাভাঙ্গায় অভিযোগ করে জানান, আমি বিদ্যালয়ে দু বছর বেগার দিয়েছি। সে সময় আমাকে আশ্বাস দিয়ে নিয়োগ দেয়া হবে বলে বলা হয়েছিলো। কিন্তু এখন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকা ছাড়া কিছু বুঝতে চান না। নিয়োগ বোর্ড যদি পছন্দের নিয়োগ প্রত্যাশীদের নিয়োগ দেয় তহলে আদালতে মামলা করা হবে।