মাজেদুল হক মানিক: প্রচণ্ডখরায় নষ্ট হচ্ছে মেহেরপুরের পাটক্ষেত। বৃষ্টির অভাবে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক। সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও প্রতিকার মিলছে না। তাই সোনালী আঁশ উৎপাদনে অন্যতম এ জেলার চাষিরা মারাত্মক ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।
আর ক’দিন পরেই বোশেখ মাস শেষ। তবুও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। দু-একদিন ছিটেফোটা বৃষ্টি হলেও দাবদাহ কমেনি। এবার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিসেলসিয়াস থেকে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রিসেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এতে ক্ষেতের পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। কীটনাশক প্রয়োগ করেও প্রতিকার মিলছেনা।পূর্বমালসাদহ গ্রামের পাটচাষিশামীম রেজা জানান, প্রচণ্ডরোদে পাটের বাড়ন্ত ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছে কৃষকেরা। জমিতে সার ও সেচ প্রয়োগ করেও পাটের কোনোপরিবর্তন হচ্ছে না। অতিরিক্ত সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে পাট আবাদের খরচ বেড়েছে কয়েক গুন। তারপরও ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবমতে, চলতি বছরে ২২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো২৩ হাজার ৩১৪ হেক্টর। গত মরসুমে ২৩ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছিলো৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৫ বেল।
পাটচাষিমেহেরপুর শহরের ইউনুস মণ্ডল জানান, চলতি বছরে তিনি ৫ বিঘা পাটেরচাষ করেছেন। অনাবৃষ্টিতেপাটক্ষেতে দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। খরার কারণে অনেক পাটক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকেরা রয়েছেন বৃষ্টির অপেক্ষায়। একইকথা জানালেন দিঘীর পাড়ার পাটচাষিইংরেজ ও আকছার হোসেন। উপসহকারীকৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি নিয়মিত সেচ দিয়ে পাটগাছ টিকিয়ে রাখতে হবে। বৃষ্টি হলে সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি জানান।