আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিগত কয়েক বছরের মতো এবছরও মে মাসে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ করে বিশ্ব কোদাল দিবস পালন করলেন আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মাও. আব্দুল কাদের। গত সোমবার তিনি কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের একটি ভাঙাচোরা রাস্তা গ্রামবাসীকে নিয়ে পুনর্নিমাণ করেন। দুর্লভপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক যুবা-কিশোর-মধ্যবয়সি ব্যক্তি স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে গ্রামের মসজিদপাড়ার শুকুর আলীর বাড়ির পাশের রাস্তাটি পুনর্নিমাণ কাজে লেগে যান। ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম, আশরাফুল হক, বায়েজিদ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, দোলন, আব্দুল কুদ্দুস, উজ্জ্বল হোসেন, মহাসিন মণ্ডল, মহিলা সদস্য আশানূরী খাতুন, জাহানারা খাতুন, শিল্পী খাতুন, নিকা রেজিস্টার আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন শিক্ষক, গ্রামের মণ্ডল লুতফর রহমান, আশরাফুল মণ্ডল, মুনসুর আলীসহ অনেকেই ওই রাস্তা নির্মাণ কাজে অংশ নিয়েছিলেন। যারা কোনোদিন বাড়িতে কঠিন কোনো কাজ করেননি তারাও ওই স্বেচ্ছাশ্রমের আনন্দঘন কাজে হাত লাগিয়েছেন। এদের কেউ বা কোদাল দিয়ে মাটি কেটেছেন, কেউ বা মাটি ভর্তিঝুড়ি মাথায় বহন করে রাস্তায় ফেলেছেন। গ্রামজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের পরিবেশ। কুমারী ইউনিয়নের দু দু বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ বিশ্ব কোদাল দিবসের উদ্দ্যগতা, তিনিও স্বয়ং মাথায় করে মাটিভর্তি ঝুড়ি টেনেছেন। সকল শ্রমজীবী মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিশ্রম করে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। চেয়ারম্যান হাজি মাও. আব্দুল কাদের জানান, ২০০৬ সাল থেকে তিনি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তা নির্মাণ করে বিশ্ব কোদাল দিবস পালন করে আসছেন। ইতোপূর্বে কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ি, কুমারী, শ্যামপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তা বিশ্ব কোদাল দিবসে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয়েছে। তিনি বলেন- এতে গ্রামবাসীর মধ্যে সৌহাদ্য বেড়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে, এমনকি আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেমও বৃদ্ধি পেয়েছে।