অবশ্যই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা, এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চায় বাংলাদেশ।বিশেষ করে পূর্বের তুলনায় বিজ্ঞানে অনেকটাই এগিয়েছি আমরা।বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা কৃতিত্বের সাথে নানা দেশে কাজকরছেন। এরপরও বিদেশনির্ভরতা রয়েছে। বাস্তবতার আলোকে স্বনির্ভরতা অসম্ভব বলে মনে হলেও তা যে সম্ভব করা যাবে না, তা কিন্তু নয়।
নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, ঔপনিবেশিক আমলে এ পরনির্ভরমানসিকতা আমাদের স্বনির্ভর হতে দেয়নি। আমরাও বিশ্বের বুকে আত্মসম্মান নিয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এ মানসিকতাথেকে বেরিয়ে আসার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি এ ব্যাপারে বড় কোনো প্রকল্পগ্রহণ,প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিদেশি পরামর্শকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনারআহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরের কাছে হাত পাতার মানসিকতা বদলাতে হবে।কথায় কথায় আর পরমুখাপেক্ষিতা নয়। এখন থেকে আমরা নিজেরাই নিজেদের কাজ করবো।প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মধ্যদিয়ে একটি দৃঢ়চেতা জাতির গভীর আত্মবিশ্বাসপ্রতিফলিত হয়েছে। এ আত্মবিশ্বাস ওআত্মশক্তি জাতিকে ১৯৭১ সালেপাকিস্তানি হানাদারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণাজুগিয়েছিলো।
বিশ্বায়নের যুগে এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বে সাফল্যের জন্যআত্মনির্ভরশীল হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।আমাদেরবিদেশনির্ভরতা যতো হ্রাস পাবে,আমরা ততো বেশি স্বনির্ভর হতে সক্ষম হবো। এ যুক্তির পক্ষে বিপক্ষে যতো যুক্তিই থাকুক- ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন হোক আমাদের লক্ষ্য।