মাথাভাঙ্গা মনিটর: তাদের ম্যাচ ছিলো না। ছিলো না জয়-পরাজয়ের হিসাব। তবুতারা আনন্দে মাতলেন। সেরি আতে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় উদযাপন করলেন আন্দ্রেপিরলো আর জিয়ানলুইজ বুফফনরা। গতরোববার কাতানিয়ার কাছে এএস রোমার ৪-১ গোলে হেরে যাওয়ায় ৩ ম্যাচবাকি থাকতেই শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে জুভেন্টাসের।রোমার ম্যাচ শুরুরআগেই একে একে ক্লাব প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকে জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা। নিজেদের মাঠেম্যাচের আগে যে ঘরটিতে তারা বসেন, রোমার ম্যাচ শুরু হতেই সবাই সেই ঘরে গিয়ে বসলেন।টেলিভিশনে রোমার খেলা দেখাই ছিলো উদ্দেশ্য।প্রথমার্ধে রোমা ২-০তে পিছিয়েপড়ার পরই উৎসব শুরু হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে যেটা চূড়ান্ত রূপ পায়।সেরি আতেনিজেদের ৩০তম শিরোপা জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জুভেন্টাসের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক বুফফন মহাখুশি।উৎসবের ফাঁকে নিজের অনুভূতির কথা জানান ৫ বার ইতালিয়ান লিগ জেতাবুফফন, মাঠে না নেমেই এটা আমার দ্বিতীয় স্কুদেত্তো (সেরি আ শিরোপা) জয়। এটাঅন্যরকম, অন্যরকম এক অনুভূতি। তবে দারুণ।ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েল্লিনি যোগকরেন,অসাধারণ এক যাত্রা ছিলো এটা এবং আমরা এখনো শেষ করিনি, কারণ সেরি আর প্রথমক্লাব হিসেবে আমাদের ১০০ পয়েন্ট পাওয়ার বিষয়টি সামনে আছে।দলের অসামান্য এসাফল্যের জন্য কোচ আন্তোনিও কোন্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জুভেন্টাসেরকর্মকর্তারা।২০০৬ সালে ম্যাচ পাতানোর কলঙ্ক মাথায় নিয়ে দুটি ইতালিয়ানশিরোপা হারাতে হয়েছে জুভেন্টাসকে, অবনমিত হয়ে সেরি বিতে খেলতে হয়েছে। ওইদুসময়কে পেছনে ফেলে জুভেন্টাসকে আবার জাগিয়ে তুলেছেন কোন্তে। ২০১১ সালে দলেরদায়িত্ব নেয়ার পর জিতিয়েছেন সেরি আর হ্যাটট্রিক শিরোপা।