বিচারের আশায় ধর্ষিতার পরিবার ঘুরছে দ্বারে দ্বারে : মামলা নেয়নি থানা
চরপাড়া থেকে ফিরে সদরুল নিপুল: প্রেমিকরূপী রাজিব ওরফে মণ্ডল প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। ধর্ষিতার পিতা শাস্তির দাবিতে আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি। আইনি সহায়তা না পেয়ে গ্রামের মানুষের দ্বারে দ্বারে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য অসহায় ধর্ষিতার পিতা-মাতা ঘুরলেও ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। ছাত্রীর পিতা অবশেষে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্রচাষির বড় মেয়ে জেসিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে নিকটবর্তী বেগুয়ারখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব আহম্মেদ ওরফে মণ্ডল (২২) গত তিন মাস আগে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মান-সম্মানের ভয়ে ওই সময় স্কুলছাত্রী ঘটনা কাউকে জানায়নি। ১০ দিন আগে প্রেমিক মণ্ডল ওই ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করলে সে বাড়িতে এসে তার পিতা-মাতাকে জানিয়ে দেয়। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একমাস আগে মণ্ডল আমাকে ধর্ষণ করলে ভয়ে কাউকে বলিনি। কিন্তু গত ১০ দিন আগে আবারও ধর্ষণ করে।
ওই ছাত্রীর পিতা জানান, ধর্ষণের আলামত থাকা অবস্থায় আমি মেয়েকে সাথে নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় তিনবার গিয়েছি মামলা করার জন্য। কিন্তু পুলিশ আমার সাথে খারাপ আচরণ দেখিয়ে রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি।আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। আমরা গ্রামের মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি সুষ্ঠু বিচারের আশায়। কিন্তু ধর্ষক মণ্ডল প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের কোনো মানুষ সালিস করতে পারছে না। অবশেষে ছাত্রীর পিতা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থানা পুলিশ যখন মামলা নিলো না এবার আদালতে মামলা করবো।