স্টাফ রিপোর্টার:পটুয়াখালীতেলঞ্চ ডুবির ঘটনায় গতরাত ১০টা পর্যন্ত এক শিশু, চার নারীসহ ৮ জনের লাশউদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ খবরে ১৯ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রশাসনেরপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুসহ ১২ জনকে উদ্ধারকরা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার জানান, বরিশাল ফায়ারসার্ভিসের প্রশিক্ষীত ১৭ জনের একটি ডুবুরি দল রাত সোয়া ৯ টায় ঘটনাস্থলেপৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসেরউদ্ধারকারী একটি দল ও স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন। উদ্ধারকারীজাহাজ রুস্তম রোববার সকাল ৬টার দিকে নিমজ্জিত লঞ্চটি উদ্ধারের জন্যঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।নিহতরা হলেন, গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনারভূমি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েমুজ্জামান জেলার কলাপাড়াউপজেলার চম্পাঁপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালীর মাহেন্দ্র মিস্ত্রির ছেলে নারায়নচন্দ্র মিস্ত্রি (৬০), রাঙ্গাঁবালী উপজেলার মাঝনেতা গ্রামের মিজানুররহমানের স্ত্রী নিপু বেগম (৩৫), গঙ্গিঁপাড়া এলাকার শাহিন মিয়ার শিশু ছেলেশিফাত (৬), সেঁনেরহাওলা এলাকার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), কাঁটাখালী এলাকার রনি শরীফের শিশু কন্যা চিম্মি আক্তার (৬), একই উপজেলারকুদ্দুস হাওলাদারের স্ত্রী লুৎফা বেগম (৫৫), গলাচিপা পৌর শহরের দক্ষিণকালিকাপুর এলাকার ছিদ্দিক মহুরীর মেয়ে রুনিয়া বেগম (২৫)। তবে সর্বশেষউদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় পাওয়া সাত জনের লাশ তাদেরপরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের জন্য তাদেরপরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।লাশ উদ্ধার হওয়ার পর তাদের স্বজনরা ও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে তাদের আহাজারিতে কলাগাছিয়ার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।লঞ্চটিরাঙ্গাবালী উপজেলার তুলাতলী লঞ্চঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় গলাচিপারউদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে গলাচিপা শহরের লঞ্চঘাট থেকে দুপুর ১টার দিকেপটুয়াখালী জেলা নৌ-বন্দরের উদ্দেশে আসার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে কলাগাছিয়ালঞ্চঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটি প্রায় ২৫ ফুট পানিতে নিমজ্জ্বিত হয়।