গাংনীর ভরাট গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে আহত দুজন হাসপাতাল থেকে গা ঢাকা :অপরজন পুলিশের নজরদারিতে

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভরাট গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিনজনের মধ্যে দুজন গা ঢাকা দিয়েছে। অপরজন এখন পুলিশের নজরদারিতে। গতকাল শনিবার বিকেলে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আহত শমসের আলীকে। বোমা হামলা নাকি বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণ তা উন্মোচনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে, গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ফারুকুল ইসলাম ও এসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গতকাল বিকেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছায়। কিন্তু তার আগেই হাসপাতাল থেকে সটকে পড়ে আহত টিপু সুলতান (৩২) ও মিনারুল ইসলাম (৩০)। আহত শমসের আলীকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। টিপু ও মিনারুল আত্মগোপন করায় বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে রহস্য দানা বেধে ওঠে। মামলার তদন্তের স্বার্থে শমসের আলীকে পুলিশি নজরদারিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান এসআই ফারুকুল ইসলাম।

শমসের আলী পুলিশের নজরদারিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানান, আহত তিনজনের সার্বিক কর্মকাণ্ড ও এলাকায় কী ধরনের অবস্থান রয়েছে তা নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রদান করেননি তিনি। দুয়েক দিনের মধ্যেই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে দক্ষিণ ভরাট গ্রামের দারাজ আলীর ছেলে টিপু সুলতানের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে টিপু, শমসের ও মিনারুল গুরুতর আহত হয়। ওই রাতেই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। আহতরা পুলিশকে জানায়, তাস খেলার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাদেরকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। তবে সময় ও ঘটনাস্থলের সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে বোমা হামলা না বোমা তৈরিকালে বিষ্ফোরণ তা নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়।