স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরে ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধী ও শিশুসহ ৪ জন নিখোঁজ থাকলেও তাদের সন্ধানপাওয়া যায়নি। কেউ তাদের অপহরণ করেছে কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশসহকোনো সূত্র।
স্থানীয়সূত্র জানায়, ২২ এপ্রিল গাংনী উপজেলারবাঁশবাড়িয়া থেকে অপহৃত হন রাঙ্গুনিয়ার সরববাটা গ্রামের ফিরোজ আহম্মেদেরছেলে তামাক ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম। গত ৯ দিনেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।গাংনী থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম জানান, তাইজুল ইসলামকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে তাকে তুলে নিয়ে গেছে ব্যবসায়িক পার্টনাররা।
এদিকেসিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী সায়েমকে গত রোববার রাতে মুজিবনগরেরসোনাপুর সীমান্তে নির্যাতন করে বিএসএফ জওয়ানরা। অসুস্থ অবস্থায় তাকেমুজিবনগর পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমেসায়েমকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে সায়েমের মা সাজেদা খাতুন গত মঙ্গলবারভোরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছালেও সায়েমের কোনো খোঁজ পাননি।উপজেলারপশ্চিম মালসাদহ গ্রামের নাননুর রহমান (১৫) নামের এক কিশোর গত দুমাসযাবত নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ নাননুর পিতা আলফাজ উদ্দীন থানায় সাধারণডায়েরি করেছেন।
নাননুর পিতা জানান, গাংনী বাজারের লিটন মটরসাইকেল মিস্ত্রিরঘরের কাজ করতো নাননু। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয় কর্মস্থলে আসার পরথেকে নিখোঁজ রয়েছেন।ছাড়া গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আনিসুর রহমাননামের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সে মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারে থেকেপড়ালেখা করতো। সে বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ২০০৮সালের ৯ আগস্ট মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘুরাফেরা করার সময়স্থানীয় লোকজন তাকে শিশু পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। সেই থেকে আনিসুরসেখানেই থাকতো। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক লাইজুরাজ্জাক সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এএসপি সার্কেল আব্দুল জলিল জানান, জিডির ওপর ভিত্তি করে কার্যক্রম চলছে। যাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না তাদেরউদ্ধারের পর জানা যাবে তারা অপহরণ হয়েছেন নাকি সেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন।