স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন-২০১৪’র জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়। জেলা ইউনিট কমান্ডে পৃথক দুটি প্যানেল ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডেও পৃথক দুটি প্যানেল জমা দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার ভোট প্রদান করবেন। এবারের ভোটার সংখ্যা জেলায় ১ হাজার ৪৫০জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪২৭।
জেলা ইউনিট কমান্ডে নুরুল ইসলাম মালিকের নেতৃত্বে ১৭ জন ও আবু হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়ছেন। সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডে আশু বাঙালীর নেতৃত্বে ১১ জন ও হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
আগামী ৪ মে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই, ৬ মে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের তারিখ৭ মে আপিল নিষ্পত্তির তারিখ, ১১ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ১২ মে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও ১৪ মে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট কমান্ড পদে নুরুল ইসলাম মালিক, ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার পদে রেজাউল হক মালিক ও সাইদুর রহমান ছাব্দার। সহকারী ইউনিট কমান্ডার (সাংগঠনিক) আরশেদ আলী, খবির উদ্দিন (অর্থ), আব্দুল হালিম শান্তি (দফতর), আনোয়ারুল ইসলাম (প্রচার), খোশদেল আলম (তথ্য ও গবেষণা), শেখ নুর মো. জকু (সাংস্কৃতিক), মুরাদ আলী (ত্রাণ), শামসুদ্দিন (ক্রীড়া), আব্দুল হান্নান (শ্রম ও জনশক্তি), নুরুল ইসলাম (প্রকল্প ও সমবায়), আনোয়ার হোসেন (শিক্ষা)। কার্যকরী সদস্য পদে খবির উদ্দিন, সাঈদ মো. সেলিম ও আব্দুল হামিদ বিশ্বাস।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেনজেলা ইউনিট কমান্ড পদে আবু হোসেন, ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার পদে মোস্তফা খান ও শহিদ খান। সহকারী ইউনিট কমান্ডার (সাংগঠনিক)আতিয়ার রহমান, ফজলুল হক (অর্থ), আলতাফ হোসেন(দফতর), সিরাজুল ইসলাম (প্রচার), কেএম জোহা (তথ্য ও গবেষণা), জিন্নাত আলী (সাংস্কৃতিক), শফি উদ্দিন মোংলা (ত্রাণ), নিজাম উদ্দিন (ক্রীড়া), শফি উদ্দিন (শ্রম ও জনশক্তি), সুজা উদ্দিন (প্রকল্প ও সমবায়), আনারুল ইসলাম (শিক্ষা)। কার্যকরী সদস্য পদে নুরুল হক, আবু তালেব মণ্ডল ও মুক্তার হোসেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় কমান্ডার পর্যায়ে আশু বাঙালী, ডেপুটি কমান্ডার আহসান আলী, ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক, সহকারী কমান্ডার আবুল কাশেম, সহকারী কমান্ডার নজির উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার গোলাম সরোয়ার,সহকারী কমান্ডার ওসমান গনি, সহকারী কমান্ডার ফজলুল হক ও সহকারী কমান্ডার আজিজুল হক। কার্যকরী সদস্য রহমত আলী ও আইয়ুব হোসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে কমান্ডার পর্যায়ে হাফিজুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার মনোয়ার হোসেন, ইউনিট কমান্ডার আকসেদ আলী, সহকারী কমান্ডার ওসমান গণি, সহকারী কমান্ডার নজরুল ইসলাম, সহকারী কমান্ডার সাখার উদ্দিন ,সহকারী কমান্ডার লিয়াকত আলী, সহকারী কমান্ডার ওসমান গণি ও সহকারী কমান্ডার তোয়াজ্জেল হোসেন। কার্যকরী সদস্য মকছেদ আলী ও আইয়ুব আলী।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা জানান, আগামী ৪ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন আচরণ বিধি মেনে চলার জন্যে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।নির্বাচনে রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমান্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ঝিনুক বিদ্যালয়ে। ভোটচলাকালে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা করা হবে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, জমে উঠেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন। নির্বাচনে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস প্যানেল ও সাবেক কমান্ডার সুলতান জোয়ার্দ্দার প্যানেল তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলমের নিকট তারা ওই মনোনয়নপত্র জমা দেন।
৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন। ১১টি পদে বিপরীতে ২ প্যানেলে বিভক্ত হয়ে মোট ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে আগামী ৪ মে,আপিলের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে ৬ ও ৭ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ১১ মে,চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ মে। প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৪ মে। ইতোমধ্যে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ ও দোয়া প্রার্থনা শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা।