স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি/নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তুঘলকি কাণ্ড। অর্থবাণিজ্যের কারণে নিয়োগ দেয়া নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার ক্ষমাতাসীন কয়েকজন নেতা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে এলাকার সাধারণ ও ভুক্তভোগী মহল চায় সুষ্ঠু নিয়োগের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হোক।
সূত্র জানায়, গাড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ দেয়ার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। চলতি মাসের ১৫ তারিখে দরখাস্ত জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিলো। এতে ৯ জন দরখাস্ত করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি নুর হাশেম মোড়ল, গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার আব্দুল কাদের, মেম্বার জিল্লুর রহমান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউদ্দিন আলাদা আলাদাভাবে তাদের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এ পরিস্থিতিতে গ্রামের লোকজন ফুঁসে ওঠে এবং সালিসসভার আয়োজন করা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এরই মধ্যে জটিলতার কারণে নতুন করে আবার আবেদনের তারিখ বৃদ্ধি করা হয়। নতুন তারিখ অনুযায়ী আজ ৩০ এপ্রিল আবেদনের শেষ দিন আজ। তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ, ইতোমধ্যে নিয়োগ কর্তারা ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে প্রামবাসী দাবি।