ষোড়শী যুবতীকে শ্লীলতাহানির অপচেষ্টা : পরস্পর বিরোধী বক্তব্য : মতিনের বিরুদ্ধে মামলা

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বড়দুধপাতিলা গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের এক ষোড়শী যুবতীকে শ্লীলতাহানীর অপচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মুদিদোকানি তিন সন্তানের জনক মতিনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত মতিন বিষয়টি অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে মারধরসহ মামলায় ফাসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের বড়দুধপাতিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার প্রভাবশালী আব্দুল কাদের মণ্ডলের ছেলে মুদিদোকানি আ. মতিন (৪৮) প্রতিবেশী হতদরিদ্র ভ্যানচালকের ষোড়শী যুবতী মেয়েকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার উদ্দেশে বেশ কিছুদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। ভুক্তভোগী যুবতী বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানালে হতদরিদ্র ভ্যানচালক গ্রামের স্থানীয় মাতবরদের নিকট বিচার প্রার্থনা করেন। স্থানীয় মাতবররা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিচার করতে পারবে না বলে অপরোগতা প্রকাশ করে। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মুদিদোকানি মতিন তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে প্রতিবেশী ওই যুবতীদের বাড়ির সামনে নিলুর চায়ের দোকানে বসে। এরই এক ফাকে সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়ে যুবতী মিতার ঘরে। তাকে জাপটে ধরে এবং শরীরের বিভিন্ন ষ্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।

যুবতীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে ধরে ফেলে মতিনকে। শুরু হয় ঘরের মধ্যেই মারধর। অবস্থা বেগতিক দেখে লোকজনকে ঠেলে বাড়িতে পালিয়ে আসে মতিন। বাড়ি থেকে লোকজন ডেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুনরায় ছুটে যায় ওই ভ্যানচালকের বাড়িতে। ষোড়শী যুবতীসহ তার পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তাকে ওই পরিবারের লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মারধর করেছে বলে রাতেই একটি অভিযোগ দায়ের করে দামুড়হুদা থানায়। গতকাল সকালে শ্লীলতাহানির শিকার ওই ষোড়শী যুবতীর খালা একই গ্রামের এরেং মণ্ডলের স্ত্রী বাদী হয়ে মতিনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। অভিযুক্ত মতিন বলেছেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয় বরং তারা আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মারধর করেছে।

প্রতিবেশীরা জানায়, মতিন ও তার পরিবারের লোকজনের ব্যবহার ভালো হলেও স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। এলাকার ছোট ছোট মেয়েদের তার দোকানের মধ্যে ডেকে নিয়ে জোর করে ষ্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় বলেও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, তদন্ত করে দেখা গেছে অভিযুক্ত মতিনের অভিযোগটি সঠিক নয়। সে মামলা থেকে রেহাই পেতে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলো।