অনেকইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ার পরও দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী মাধ্যমিকশিক্ষা শেষ করার আগেই ঝরে পড়ে। দারিদ্র্যের কারণেই মূলত এসব শিক্ষার্থীরপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়। অথচ এসব শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক কোনোপ্রশিক্ষণ পেলে তারা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা সহজেই কাজে লাগাতে পারে।মূলত এসব বিবেচনা করেই সরকার বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি যে গুরুত্ব আরোপকরেছে, তা ইতিবাচক ফল দেবে বলে বিশ্বাস।
সর্বশেষ প্রণীত শিক্ষানীতিতেওবৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গত বুধবার ইনস্টিটিউশন অবডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেপ্রধানমন্ত্রী বলেছেন,শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত কর্মসংস্থানের কথা বিবেচনাকরে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের অন্তত একটি বিষয়ে বৃত্তিমূলকপ্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আমরা আশা করবো,এর বাস্তবায়নে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানেয়া হবে।সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কম্পিউটার শিক্ষারপ্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অনেকপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষা অবহেলিত হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো কোনোপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারের তাত্ত্বিক শিক্ষা পেলেও তারাব্যবহারিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরকম্পিউটার ল্যাব প্রায় সারা বছরই তালাবদ্ধ থাকে। অথচ এসব শিক্ষা হাতে-কলমেদেয়া জরুরি। বর্তমানে দেশে অনেক বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে, যেখানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে দক্ষপ্রকৌশলী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান যাতেকোনোভাবেই কমে না যায়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষভাবে নজর দিতে হবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নাওয়ার দিকে।
দেশে বৃত্তিমূলকশিক্ষার প্রসারে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে,তা যাতে যথাযথভাবেবাস্তবায়িত হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। বিদেশে পাঠানোর আগেপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরির সরকারি উদ্যোগটিও প্রশংসার দাবিরাখে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিদেশে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের বিভিন্নভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্যও পদক্ষেপ নেয়া দরকার।