দামুড়হুদা প্রতিনিধি:চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জয়রামপুর স্কুল বটতলার মুদি ও মুরগি দোকানি আবুল কাশেমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গতরাত ৯টার দিকে তাকে তার দোকানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এক ব্যক্তি দ্রুত সটকে পড়ে। আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ও পরে তাকে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। দুর্বৃত্তের হামলায় ক্ষতবিক্ষত আবুল কাশেম জয়রামপুর স্কুলপাড়ার বাবর আলী গাজীর ছেলে।
ঘটনার বর্ণনা দিতি গিয়ে তার ৪র্থ ভাই শহিদুল জানান, রাত ৯টার দিকে আমি ও আমার প্রতিবেশী শাহাবুল ভাইয়ের দোকানে যায়। ধান কাটার বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। শেষে দুভাই এক সাথে বাড়ি যেতে চাইলে ভাই বলে, একটু দাঁড়া দোকানটা বন্ধ করি। আমি পার্শ্ববর্তী শাহাজানের দোকানে বসে চায়ের অডার দিই। এ সময় উপস্থিত লোকজন ধরধর করে চিৎকার করতে থাকে। আমি ছুটে গিয়ে দেখি দোকানের দরজার গোড়ায় রক্তাক্তা অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিলো দোকান।স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাইকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার আগেই দুর্বৃত্তরা তার দোকানের বিদ্যুত সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। তারা আরো জানায়, মুখ বাধা অবস্থায় কালো প্যান্ট ও শাদা গেঞ্জি পরিহিত বেটে আকৃতির একজন দুর্বৃত্ত দোকানের পেছন দিক দিয়ে মাঠের মধ্যে পালিয়ে যেতে দেখেছে। তবে তাকে কেউ চিনতে পারেনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবুল কাশেমের মুখে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। জিহবাটাও কেটে গেছে। ফলে দ্রুত তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।