ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশুর শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

 

আলমডাঙ্গা ভোলারদাড়ির ধর্ষক জিল্লুকে ধরতে পুলিশি তৎপরতরা বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:ভোলারদাড়ির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করা হয়নি, তাকে ধর্ষণই করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ফলে ধর্ষক জিল্লুকে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা করতে পারছে না স্থানীয় প্রভাবভাশালী মহল। পুলিশ সূত্র এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, ধর্ষণের অভিযোগেই অভিযোগপত্র প্রণয়নের পক্রিয়া করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ধর্ষণের শিকার শিশুর জবানবন্দি নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার।

মোমিনপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের ভোলারদাড়ি গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপন করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালী অভিযুক্ত ধর্ষক জিল্লুকে রক্ষা করতে উঠে-পড়ে লাগে। স্কুলছাত্রীর দরিদ্র পিতা বিভ্রান্তের মধ্যে পড়েন। ধর্ষণ মামলার বদলে ধর্ষণ অপচেষ্টা মামলা রুজুর পক্রিয়া করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষার ১৭ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপোর্টটি হাতে পায়।

সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান তার কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলছাত্রী ও তার পিতা-মাতার সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন। এসপি রশীদুল হাসান ছাত্রীর বাবা-মাকে আইনিগত যাবতীয় সহায়তা এবং আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পিয়ার আলী।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান গতকাল দুপুরে মামলার অগ্রগতির সম্পর্কে মাথাভাঙ্গাকে জানান, আশাকরি অচিরেই আসামি জিল্লুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার এসআই পিয়ার আলী জানান গ্রেফতার এড়াতে আসামি জিল্লুর এলাকা ছেড়ে ঢাকাতে আত্মগোপন করে রয়েছে। তিনি বলেন আসামিকে গ্রেফতারের সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরালোভাবে অব্যহত রয়েছে।