জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাঞ্ছিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা হলরুমে এসিআই কোম্পানির কৃষক সম্মেলন থেকে এসিআই কোম্পানির অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার শান্তি কুমার রায় ও প্রোগ্রাম অফিসার সানোয়ার হোসেন কৃষকদের সাথে নিয়ে হামলা করে। এক সময় তিনি প্রাণ বাঁচাতে পাশের কৃষি অফিসে ঢুকে পড়েন। তারা সেখানেও চড়াও হয় এবং বাইরে থেকে অফিস রুমের তালা লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ইউএনওকে উদ্ধার করেন ও এসিআই দু কর্মকর্তাকে ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নেন। পরে তারা ক্ষমা চেয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুর রহমান জানান, এসিআই কীটনাশক কোম্পানি উপজেলা হলরুম বরাদ্দ নিয়ে গতকাল কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। গতকাল ছিলো জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনির বিদায় অনুষ্ঠান। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে এ অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা হলরুম থেকে ৪টি টেবিল আনার জন্য তিনি দুজন পিয়ন পাঠান। কিন্তু এসিআই কর্মকর্তা শান্তি কুমার রায় এ টেবিল না দিয়ে তিনি ইউএনও পদবী নিয়ে কৃষকদের সাথে নানা কুটক্তি করেন। এসময় তিনি উপস্থিত কৃষকদের উত্তেজিত করতে থাকলে এক পর্যায়ে কৃষকরা তার কথায় চরম উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। টেবিল না দেয়াতে ইউএনও সাজেদুর রহমান নিজেই টেবিল নেয়ার জন্য হলরুমে গেলে উত্তেজিত কৃষকসহ এসিআই কর্মকর্তারা তাকে লাঞ্ছিত করতে তেড়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউএনও সাজেদুর রহমান এসময় প্রাণ বাঁচাতে পাশের কৃষি অফিসে ঢুকে পড়লে সেখানেও তারা তেড়ে যায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং এসিআই কোম্পানির ওই দু কর্মকতাকে আটক করে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজার দপ্তরে নেন। সেখানে তারা ইউএনও সাহেবকে চিনতে পারেননি বলে দাবি করে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।