স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি’র লংমার্চের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে গজলডোবারবাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছে ভারত। এ ঘটনায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে পানি পেয়ে মৃতপ্রায় নদীতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এপানি ছেড়ে দেয়ায় ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিলো ৩০০৬ কিউসেক। ভারতেরএকতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে ডালিয়া ব্যারেজের সেচ প্রকল্পে পানি ৩ শ’ কিউসেকে নেমে আসে। পানির অভাবে এ অঞ্চলের বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছিলো।এতে কৃষকরা দলবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধসহ রাস্তায় আন্দোলনে নেমে আসে। কৃষকআন্দোলন থামাতে গিয়ে র্যাব-পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এরপরও থেমে নেইআন্দোলন। তিস্তা-ডালিয়া পয়েন্টে এসময়ে সর্বনিম্ন পানির প্রয়োজন ৩০০০কিউসেকের বেশি। পানির অভাবে প্রধান ও শাখা সেচ নালা এলাকার আশেপাশের কৃষকরাজমি তৈরি করতে পারছিলো না। ফলে বোরো আবাদ প্রকল্প এলাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।কৃষকরা পানির জন্য হাহাকার করছিল। ডালিয়া পয়েন্টের ভাটি থেকে কাউনিয়াপর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়। ক্যানেলে পানি না থাকায় পানিরঅভাবে অনেকেই বোরো ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন শ্যালোমেশিন দিয়ে। গত বছর এপ্রিলমাসে এখানে পানির প্রবাহ ছিলো ৩৪০০ কিউসেক। সোমবার ছিলো ৫৮০ কিউসেক। গতকালমঙ্গলবার বেলা ১২টায় হঠাত করে ভারতের গজলডোবা থেকে পানি আসতে শুরু করে। একসময় পানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০০৬ কিউসেক। সন্ধ্যায় পানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধিপায়। তিস্তা ব্যারেজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশিকুর রহমান জানান, দিন-রাত২৪ ঘণ্টায় একবার করে পানি মাপা হয়। দুপুরে এ পানির পরিমাণ ছিলো ৩০০৬কিউসেক। সন্ধ্যায় এ পানির পরিমাণ আরও বেড়েছে। তবে গজলডোবা থেকে ঠিক কিপরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে তা তিনি বলতে পারেন নি।