প্রাথমিকে এবার ৩৫% সৃজনশীল প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনীপরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ শতাংশ বাড়িয়ে এবার ৩৫ শতাংশকরা হচ্ছে। সবগুলো পরীক্ষার সময় আগের মতো আড়াই ঘণ্টা থাকছে।জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. নাজমুল হাসানখান মঙ্গলবার বিডিনি বলেন, প্রাথমিক সমাপনীর এ বছরেরপরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালায় চূড়ান্ত হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে প্রতি বিষয়ে যোগ্যতাভিত্তিক ৩৫ শতাংশ এবংট্রাডিশনাল ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে।
            প্রাথমিক সমাপনীতে পর্যায়ক্রমে শতভাগ প্রশ্নই যোগ্যতাভিত্তিক করার পরিকল্পনারয়েছে।নেপ মহাপরিচালক বলেন, প্রতি বছরই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার বাড়ানোহবে।২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিলো। গত বছর সৃজনশীল প্রশ্ন ছিলো ২৫ শতাংশ।যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তুঅনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় গত বছর সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়েআড়াই ঘণ্টা করা হয়।

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা:তবে এবছর সৃজনশীল প্রশ্নের হার গত বছরের থেকে ১০ শতাংশ বাড়লেও পরীক্ষারসময় বাড়ানো হয়নি বলে জানান নাজমুল।তিনি বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারাছাড়াও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করেই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার এবার ১০ শতাংশবাড়ানো হয়েছে।নেপ মহাপরিচালক বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার বাড়ানোর ফলেশিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি-না তা পর্যালোচনা করা হবে।গত বছর ২০ নভেম্বর প্রাথমিকশিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছিলো; যাতে ২৬ লাখ৩৫হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।এইচএসসিতে২০১২ সালে একটি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হলেও ২০১৩ সালে সাতটি পরীক্ষাসৃজনশীলে হয়।এ বছরএইচএসসিতে ২৫টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হচ্ছে।আর এসএসসিতেএবার বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া বাকী২১টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।

অন্যদিকে জেএসসিতে ২০১৩ সালে বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজিপ্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া সব বিষয়গুলোর পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার ফলে পাবলিক পরীক্ষায় নকলেরপ্রবণতা কমার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করে উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ছে বলে দাবিকরে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।