দৌলতপুর থানার এসআই মহসীনের বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগ

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার এসআই মহসীনের বিরুদ্ধে এক মামলার বাদীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতঃপূর্বে মহসীনের বিরুদ্ধে সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে অর্থ বাণিজ্য, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ নারী ঘটিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলার খোকশা থানার একটি ক্যাম্পে বদলি করা হলেও অদ্যবধি তিনি সেখানে যোগদান না করে দৌলতপুর থানায় বহাল তবিয়তে আছেন। এ ব্যাপারে বিচার চেয়ে বীনা খাতুন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ মিস্ত্রীপাড়া এলাকার শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী বীনা খাতুনের বাড়িতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর হামলা ও লুটপাট করলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বীনা খাতুন দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। সে সময় মামলাটি তদন্তের জন্য ওসি আব্দুল খালেক এসআই মহসীনকে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্তের নামে এসআই মহসীন বাদীনী বীনা খাতুনের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৩ হাজার টাকা নেন। বীনা খাতুন তার অভিযোগে জানান, এসআই মহসীন তার ০১৭৪২-৮২৯৯৯৫ নং মোবাইল থেকে বেশ কিছুদিন ধরে ভোরে ফোন করে তার বাসায় যেতে বলে। ভোরে তার বাসায় যেতে অস্বীকার করলে এসআই মহসীন মামলার বিষয়ে আলাপ আছে বলে দেখা করতে বললে বীনা ও তার মা গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এসআই মহসীনের বাসায় যান। মাকে সাথে নিয়ে যাওয়ায় এসআই মহসীন রাগান্বিত হয়ে বলেন, আগামীকাল একা একা আসবেন। এসআই মহসীনের এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বীনা খাতুনের কাছ থেকে আবারও ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে মামলা ঢিসমিস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এর প্রেক্ষিতে বিচার চেয়ে বীনা খাতুন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছেন।

দৌলতপুর থানার ওসি এনামূল হক জানান, এসআই মহসীন খোকশা থানার জগন্নাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়েছেন। তার কাছে বেশ কিছু মামলা হস্তান্তরের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কয়েকদিন সময় নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এসআই মহসীনের বিরুদ্ধে সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে অর্থ বাণিজ্য, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ নারীঘটিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তাকে জেলার খোকশা থানার একটি ক্যাম্পে গত ৮ এপ্রিল বদলি করলেও অদ্যবধি তিনি সেখানে যোগদান না করে দৌলতপুর থানায় অবস্থান করছেন।