তরমুজ খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে বাজার থেকে কেনা তরমুজে রাসায়নিক বিষক্রিয়া

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তরমুজ খাওয়ার পর ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। তরমুজ খাওয়া ওই পরিবারের সাতজনসহ অন্তত ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কালোয়া গ্রামে এ ঘটনায় মারা যায় ওই গ্রামের আসকর আলীর ছেলে অনিক (১১) ও মেয়ে স্মৃতি (৯)। অসুস্থদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  চিকিৎসকদের ধারণা, ওই তরমুজে কোনো রাসায়নিক দেয়া হয়ে থাকতে পারে। তরমুজ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিহতদের পরিবার জানায়, দুপুরে আসকর আলী কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে যান বাড়িতে। এরপর ওই তরমুজ তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা একসাথে খায়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে স্মৃতি মারা যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অনিকের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সালেক মাসুদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তরমুজে কোনো রাসায়নিক দেয়ার ফলে তার বিষক্রিয়ায় ওই দু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্য কোনো কিছু খাওয়ার ফলেও এমনটি ঘটে থাকতে পারে। কুমারখালী থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ তরমুজ বিক্রেতা রেজাউলকে আটক করেছে। এ সময় দোকান থেকে ১৯টি তরমুজ জব্দ করা হয়। আটক রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

অসুস্থদের মধ্যে ফারুক (৯), মারুফ (১১), মিম (৯), জীম (৬), নিহারুল (৭০), ইসলাম আলী শেখ (৬০), রেখা (২২), ঝন্টুসহ (৩০) ১৫ জন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সালেক মাসুদ জানান, কেমিক্যালের বিষক্রিয়ায় শিশুদের মৃত্যু হতে পারে। অথবা অন্য কোনো খাদ্য গ্রহণের ফলেও এমনটি ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত হওয়া দরকার।