জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ অফিসের স্থায়ী ঠিকানা নেই। নিজস্ব ভবন না থাকার কারলে উপজেলার পুরাতন আদালত ভবনের ছোট একটি কামরায় চলছে দলিল সম্পাদন ও বালাম তৈরিসহ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম। এছাড়া ওই কামরার ভেতর আরো রাখা হয়েছে অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র, বালাম বই ও জমির গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বর্তমানে ওই কামরায় তিল ধারনের ঠাই পর্যন্ত নেই। তারপরও কোনো রকমে চলছে দলিল সম্পাদনের কাজ। ফলে প্রতিদিন শ শ লোকজন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে এসে পর্যাপ্ত জায়াগার অভাবে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জীবননগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস গত ২০১৩ সালের অর্থবছরে সাড়ে ৪ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হলেও নিজস্ব ভবনে যেতে পারেনি এ সাব রেজিস্ট্রার অফিস।
জীবননগর সাব রেজিস্ট্রার অফিসসূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর জীবননগর পৌরসভার একটি কামরায় সাব রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম চালিয়ে এলেও গত ২০০০ সাল থেকে উপজেলা পরিষদের পুরোনো আদালত ভবনের ছোট একটি কামরায় কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। গত ২০১৩ সালের অর্থবছরের তথ্যমতে জায়গা জমির ক্রয় বিক্রয় রেজিস্ট্রার ফি বাবদ ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৪ টাকা। সরকারি স্ট্যাম্প বাবদ ১ কোটি ৭৬ লাখ ২৩ হাজার ৭০৪ টাকা। স্থানীয় কর ১ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫ টাকা। উৎস কর থেকে রাজস্ব আয় ৫৮ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা। হলফনামা বাবদ ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা। নোটিসের কোট ফি বাবদ ৫৬ হাজার ৮২০ টাকা। সরকারি কোর্ট ফি বাবদ রাজস্ব আয় ৪২ হাজার ৪২০ টাকা। লাইসেন্স বাবদ আয় ৪৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। জীবননগর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গত বছর সর্বমোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৮ হাজার ৪০ টাকা। অথচ নিজস্ব ভবন না থাকার কারনে দীর্ঘ দিন ধরে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে প্রতিদিন জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা লোকজন নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রার নাজনীন জাহান বলেন, জীবননগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রারের নিজস্ব অফিস না থাকা খুব দুঃখজনক। পুরোনো আদালত ভবনের ছোট একটি কামরায় অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে এবং এখানে সাব রেজিস্ট্রারের খাস কামরাটি পর্যন্ত নেই। নিজস্ব ভবন না থাকায় সাধারণ মানুষ ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।