জীবননগর লক্ষ্মীপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে স্বামী হত্যার অভিযোগ : ঘাতক স্ত্রীসহ তিন সন্তান গ্রেফতার

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলায় দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া খাতুন (৪৫) তার বৃদ্ধ স্বামী হযরত আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী আলেয়া খাতুনসহ তার ৩ সন্তানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরের মৃত হায়দার আলী ব্যাপারীর ছেলে ভ্যানচালক হযরত আলীর (৬০) তিন স্ত্রী। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া খাতুনের (৪৫) সাথে পিয়ারাতলা গ্রামে থাকতেন।  বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে হত্যার শিকার হন তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী আলেয়া খাতুন শুক্রবার সকালে প্রচার করেন রাতে তার স্বামী হযরত আলী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহতের প্রথম পক্ষের ছেলে আবু হানিফ অভিযোগ করে বলেন, পিতা তার ভুল বুঝতে পরার পর দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়াকে লিখে দেয়া কিছু জমি ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। উল্টো জমি ফেরত না দিয়ে গত বুধবারে হযরত আলীর অবশিষ্ট ১৫ কাঠা জমিও লিখে নিতে চান। কিন্তু বেঁকে বসেন হযরত আলী। তিনি ওই জমি লিখে দিতে আপত্তি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া খাতুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে বেধড়ক মারপিট ও দলে-চটকে তার অবশিষ্ট সম্পত্তিও জোরপূর্বক লিখে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এর এক পর্যায়ে জমি লিখে নিতে না পেরে আক্রোশে আলেয়া বেগম শ্বাসরোধ করে স্বামী হযরতকে হত্যা করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাতক সন্দেহে হযরতের স্ত্রী আলেয়া বেগম, ছেলে আলামিন (২২), হোসেন আলী (১৯) ও মেয়ে ফরিদা খাতুনকে (২৫) গ্রেফতার করে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম ইকবাল আহমেদ জানান, হযরতের লাশের গলায় এবং সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।