পপিকে নিয়ে স্বামী ও পিতার দুরকম দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার আমজাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে গুম করার অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন শ্বশুর একইপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ মামলা রুজু করা হয়। এ সময় সহযোগিতায় ছিলেন মানবতা সংস্থার নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে অভিযুক্ত আমজাদ আলী তার স্ত্রীকে গুম করার কথা অস্বীকার করে এক প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, পপি তার পূর্বপরিচিত ফরহাদের আশ্রয়ে গিয়েছে।

পপির স্বামী প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা থেকে পাংশার উদ্দেশে রওনা হয়ে কুমারখালী স্টেশনে নেমে নিরুদ্দেশ হয়। বহু খুঁজেও পাওয়া যায়নি। পরদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জিডি করা হয়। তাছাড়া পপি একটি চিরকুট লিখে গেছে। তাতেই ষ্পষ্ট, পপি তার পূর্বপরিচিত সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার ফরহাদের কাছেই গেছে। ফরহাদ পপির পিতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধে গুমের মামলা করছে বলে দাবি করেছে আমজাদ।

আমজাদ বলেছে, তার সাথে বিয়ের আগে পপির বিয়ে হয়। ফরহাদ ছিলো পূর্বপরিচিত। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানে। পপিকে নিয়ে সংসার করার সময় আমার শ্বশুর আমাকে পপির মোবাইলফোন ব্যবহার করতে না দেয়ার জন্য বলে। ফরহাদের সাথে যেন যোগাযোগ করতে না পারে সেটাও জানিয়েছিলেন। সেভাবেই চোখে চোখে রেখে সংসার করে আসাছিলাম। গত ১১ এপ্রিল আমার বোনের সাথে পাংশায় ট্রেনযোগে বেড়াতে গিয়ে পাপি নিরুদ্দেশ হয়েছে। অথচ আমার বিরুদ্ধে স্ত্রী পপিকে গুমের অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে।

গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আমজাদ প্রতিবাদপত্রে এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি পপির লেখা চিরকুটও প্রতিবাদলিপিতে সংযুক্ত করেছেন। অপরদিকে মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, পপির পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তার জামাতা আমজাদের বিরদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫(১০) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালালসহ সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ বলেছে, পপি যেখানে যেভাবেই থাক, তাকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাকে পাওয়া গেলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।