Untitled

বিয়ের ঝামেলায় উমর আকমল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অঘটন আর অপ্রত্যাশিত বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না উমর আকমলের। পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার ঘটিয়েই যাচ্ছেন একটার পর একটা বাজে ঘটনা। লাহোরের রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সাথে অসদাচরণ করে কিছুদিন আগেই মামলার ঘানি টানতে হলো। উমর নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিয়ে সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতার আইন ভঙ্গ করে। ঘটনাটি খোদ তার বিবাহ পূর্ব মেহেদি অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি ছিলো গত মঙ্গলবার। লাহোরের উপকণ্ঠে এক খামারবাড়িতে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানেই ঘটে বিপত্তি। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সংক্রান্ত একটি আইন ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন উমর আকমল ও তার পরিবারের সদস্যরা। আইনটি হচ্ছে, রাত ১০টার পরে এ ধরনের অনুষ্ঠান চালিয়ে না যাওয়া। রাত ১০টারও অনেক পরে পুলিশ এ ব্যাপারে তাদের সতর্ক করতে গেলে উমর পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানই ছিলো আসলে বিতর্কে ভরা। স্বাভাবিকভাবেই এ অনুষ্ঠানটি নিয়ে আগ্রহী ছিলো পাকিস্তানের গণমাধ্যম। অভিযোগ উঠেছে, উমর ও তার পরিবারের সদস্যরা নাকি অনুষ্ঠানটির খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সাথেও বাজে ব্যবহার করেছেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানে এ আইনটি খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। উমরের বিয়ের এ অনুষ্ঠানটি রাত ১০টার মধ্যে শেষ না করায় স্থানীয় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। স্থানীয় এ অভিযানে তার দু ভাই কামরান আকমল ও আদনান আকমলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ক্যাটারারসহ আটক করা হয় মোট চারজনকে। উমর অবশ্য পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে তার বাগদত্তার সাথে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ দিকে উমর আকমল এ ঘটনায় বেশ বড় ধরনের ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন বলেই জানা গেছে। কারণ পুলিশি অভিযানটি নাকি পুরোপুরিই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশে হয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অনেক রাতে টেলিভিশনে এ অনুষ্ঠানটির সরাসরি প্রচার দেখেই স্থানীয় পুলিশকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেন। শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। তাকে এ মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পরই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।