বোশেখি মেলায় ছেলে-মেয়ের বায়না মেটাতে গিয়ে দিতে হলো প্রাণ

 

ফলোআপ: দামুড়হুদা বিষ্ণুপুরের নিহত গৃহবধর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরের নিহত গৃহবধূ দু সন্তানের জননী টুনির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। থানা পুলিশ গতকাল বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ আছর জানাজা শেষে মামার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জে দাফন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুরে গত সোমবার সকালে কালীকাতলায় বোশেখি মেলা থেকে খেলনা কেনার বায়না ধরে নিহত গৃহবধূর দু সন্তান পপি ও সাকিব। ছেলে-মেয়ের বায়না মেটাতে জিয়ারুলের স্ত্রী দু সন্তানের জননী টুনি খাতুন স্বামীকে না জানিয়ে ৩০ টাকায় ৫ কেজি ভুট্টা বিক্রি করেন। ওই ৩০ টাকার মধ্যে মেয়ে পপিকে ২০ টাকা আর ছেলে সাকিবকে ১০ দেন। বিকেলে স্বামী বাড়িতে এলে ছেলে সাকিব (৮) বিষয়টি তার পিতাকে জানিয়ে দেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে গৃহবধূকে বেদম মারপিট করেন। এ সময় গৃহবধূ টুনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তিনি মারা গেছেন ভেবে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয় এবং টুনি বিষপান করেছেন বলে প্রচার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গোপনে লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়া হয় এবং মেয়ের পিতাকে দিয়ে দুপুরে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির জন্য দামুড়হুদা থানার এসআই আফজাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং নিহত গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তিনি বিষয়টি থানার ওসিকে জানান এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায়  নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।