ওয়েব্রীজ স্কেল এবং হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক হয়রানি বন্ধের দাবি

 চুয়াডাঙ্গাসহ ১০ জেলার ট্রাক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ঝিনাইদহে সভা

 

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব হামদহস্থ বহুতল ভবনে খুলনা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, ঝিকরগাছা, কালীগঞ্জ ও ট্রাক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।  গতকাল বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় উঠে আসে মানিকগঞ্জ ওয়েব্রীজ স্কেল এবং হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক হয়রানীর বিষয়টি। অনিয়ম হয়রানী বন্ধের দাবি জানানো হয়।  

ঝিনাইদহ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ হবিবর রহমান হবুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বক্কর দুদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন অভায়নগর নোয়াপাড়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নোয়াপাড়া পৌর মেয়র মো. রবিউল ইসলাম। ঝিনাইদহ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে দু দফা দাবিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম ফোটন, ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, নোয়াপাড়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী (ব্যাচাঁ), ঝিনাইদহ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মানোয়ার হোসেন, চৌগাছা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিচুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক-ট্র্যাঙ্কলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম.এ মান্নান, যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইনতাজ আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক-ট্র্যাঙ্কলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, নড়াইল জেলা ট্রাক-ট্র্যাঙ্কলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক প্রমুখ। জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ও জেলা ট্রাকমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম ফোটন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবির সাথে একত্ততা ঘোষণা করেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ হাইওয়ে পুলিশের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন ও ওপেন চাঁদাবাজির কথা তুলে ধরেন এবং মানিকগঞ্জ ওয়েব্রীজ স্কেল দ্বায়িত্বরত কর্তাদের যানবাহনে (ট্রাকসহ মালবাহী গাড়ি) ওভার লোডের কথা বলে ১ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। এসমস্থ চাঁদাবাজ কর্মকর্তাদের অর্থের অঢল সম্পদের হিসাব এখন দুর্নীতিদমন কর্মকর্তার কাছে নেই। এ সরকারের হাতিয়ার এখন পুলিশ কর্মকর্তাগণ। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ও বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন দাবিতে ডাকা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন কিন্তু  ট্রাক শ্রমিকগণ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ডাকা হরতাল সঠিকভাবে শতভাগ পালন করেন না। তাই দাবি আদায় দূরহ হয়ে পড়ে।

Leave a comment