দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আগামী ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষ্যে মুজিবনগরে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় এমপি পুত্রের চাঁদাবাজির খবর পাওয়া গেছে। তবে এমপিপুত্র এটিকে চাঁদাবজি নয় বলে দাবি করেছেন।
১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে নেতাকর্মীসহ গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার জন্য এমপিপুত্র কলিন্স ও তার সহযোগীরা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ে নেমেছে বলে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানিয়েছেন। মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষ্যে মুজিবনগরের আম্রকাননে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কুষ্টিয়া ও আশপাশের জেলাগুলোর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হবেন। কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হক চৌধুরী সমর্থিত কয়েক হাজার নেতাকর্মী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এজন্য শতাধিক যানবাহন (বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাক) ভাড়া করা হচ্ছে। এ সকল পরিবহনের ভাড়া বাবদ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এলাকার বিত্তশালীদের নিকট থেকে এমপির দফতরের পরিচয়ে মজনু নামে এক ব্যক্তি একটি মোবাইল নম্বর থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে ফোন করে বলা হচ্ছে মুজিবনগর যাওয়ার জন্য গাড়িভাড়া বাবদ কিছু টাকা লাগবে, সময়মতো পৌছে দিবেন এবং মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে আরও বলা হচ্ছে এ নম্বরটিতেই বিকাশ করতে পারেন অথবা কলিন্সের (এমপি পুত্রের নাম ইমরান চৌধুরী কলিন্স) সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর টাকা না দিলে খবর আছে বলে হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রধান শিক্ষক জানান, এমপিপুত্র ও তার সহযোগীরা ৭/৮ দিন ধরে ফোন দিচ্ছে টাকা দেয়ার জন্য। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো ফান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে বেতনের টাকা দেয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, এমপিপুত্র ও তার লোকজন ডিজিটাল কায়দায় (মোবিক্যাশ, বিকাশ) চাঁদাবাজি শুরু করেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে এমপি পুত্র ইমরান চৌধুরী কলিন্স বলেন, কিছু প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান আমাদের সাথে মুজিবনগরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। জানতে চাইলে সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, আমি ঢাকায় আছি বিষয়টি আমার জানা নেই।