জীবননগরে ফড়িয়ারা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় ভুট্টার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় এবার ভুট্টার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় কৃষকরা ভুট্টার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। অসহায় কৃষকরা আর্থিক সঙ্কটের কারণে ভুট্টা মজুদ করেও রাখতে পারছেন না। এক রকম বাধ্য হয়েই উৎপাদিত ভুট্টা পানির দরে বিক্রি করছেন। উপজেলা শহরের দৌলৎগঞ্জ, আন্দুলবাড়িয়া, হাসাদাহ, রায়পুর ও উথলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জাতের ভুট্টা (কাঁচা) প্রতি মণ ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা অভিযোগ করেছে বলেছেন, ফড়িয়ারা (ভুট্টা ক্রেতা) অঘোষিত সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের ভুট্টাচাষি আকমল হোসেন জানান, গত বছর তিনি এক বিঘা জমিতে ৬ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত ভুট্টা প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফলে অধিক পরিমাণ লাভ হওয়ায় এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টাচাষ করেছেন। কিন্তু একদিকে বেশির ভাগ ভুট্টাক্ষেত ব্যাকটেরিয়াল লিভ লাইটার (বিএলবি) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফলনে বড় ধরনের বিপর্যয় হয়েছে। অন্যদিকে ভুট্টার দাম একেবারে কম হওয়ায় উৎপাদন খচর উঠছে না। তার দাবি, সম্ভাবনাময় এ ফসলটির চাষ আগামীতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

উথলী গ্রামের বর্গাচাষি জহিরুল হক বিশ্বাস ঝন্টু জানান, জমি বর্গানেয়াসহ জমি তৈরি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ পর্যন্ত প্রতি বিঘাতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত ভুট্টা বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। হাসাদাহ বাজারের ভুট্টাব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, ভুট্টা মূলত পোল্ট্রি ফিড হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু পোল্টি শিল্পে ধ্বস নামার কারণে পোল্ট্রি মালিকরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভুট্টা না কেনায় মূল্য কমে গেছে। এছাড়া বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভুট্টার আমদানি হলেও ক্রেতা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কম দামে ভুট্টা কিনে মুজদ করছে।

Leave a comment