আবার এলো বোশেখ : এসো মিলি আজ প্রাণের উৎসবে

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বর্ষবরণের রকমারি আয়োজন

খাইরুজ্জামান সেতু/উজ্জ্বল মাসুদ/সাইফ জাহান: নব আনন্দে জেগে ওঠার দিন আজ। আজ পয়লা বোশেখ; বাঙালির উত্সবের দিন। পুরোনো বছরের সকল অপ্রাপ্তি, বেদনা মুছে দিয়ে জীবনে নতুন সম্ভাবনার শিখা জ্বালাতে এসেছে পয়লা বোশেখ। একটি নতুন মাস, একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা আজ। গতকাল চৈত্র সংক্রান্তির পড়ন্ত বেলার রোদের সাথে সাথে শেষ দিনটি কালের অতলে হারিয়ে গেছে। আজ পয়লা বোশেখে লাখো প্রাণের স্পন্দনে প্রথম সূর্য কিরণের সাথে জেগে উঠবে নতুন বাংলা বছর ১৪২১। আজ সোমবার থেকে মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর বকুল তলা বাজারে পয়লা বোশেখ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপি ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজার মেলা  শুরু হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ মেলার সভাপতি সাধন কুমার ঘোষ জানান, ইংরেজ শাসন আমল থেকে এ চড়কপূজার উৎসব চলে আসছে। নববর্ষ উদযাপনের জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

            সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাজধানীর সব বয়সের নাগরিক নতুন পোশাক পরে নতুন বছরকে বরণের জন্য বিপুল উত্সাহে বের হয়ে আসবে রাজপথে। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে অসংখ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দিনের প্রথম প্রহরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাজনার মাধ্যমে শুরু হবে নতুন বর্ষবরণ। চুয়াডাঙ্গা চাঁনমারী মাঠে (ভি.জেস্কুল মাঠ) সকাল সাড়ে ৭টায় দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। এর আগে ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মুকুল ফৌজের আয়োজনে এবারও থাকছে বিশেষ আয়োজন। এ আয়োজনে সহযোগিতা থাকবে ঝিনুক মাধ্যামিক বিদ্যালয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বাঙালি সাংস্কৃতির ঐতিহ্য ধারণ করে ৱ্যালিতে অংশ নেবে। ৱ্যালিটি শহীদ হাসান চত্বর হয়ে কবরী রোড় দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এসে শেষ হবে। সেখানে বাংলা আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মতো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আয়োজনে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপি পৌর বৈশাখী মেলা। মেলার স্থান টাউন ক্লাব ফুটবল মাঠ। সন্ধ্যা ৬টায় মেলার উদ্বোধন করা হবে। মেলার উদ্যোক্তা চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, মেলার বাড়তি আর্কষণ হিসেবে থাকবে প্রতিদিন খ্যাতনামা শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রতি বছরের ন্যায় শিশু পরিবার, কারাগার ও হাসপাতালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পানতা ইলিশের আয়োজন করা হবে। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশের ঠিকানা হয়ে উঠবে রমনা বটমূল ও চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমী কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল। নতুনের আবাহনে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই চিরায়ত সুর অনুরণন তুলবে প্রতিটি বাঙালির হূদয়ে- ‘এসো হে, বৈশাখ এসো এসো/ তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,/ বত্সরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক’/। চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদের উদ্যোগে টাউন ফুটবল মাঠে এবারও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়িতে চৈত্রি সংক্রান্তি আলোচনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের আয়োজক মজনুল হক পচার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার সাইফুর আরিফ বিশ্বাস লিটু, আমিনুল ইসলাম ও মওলা বক্স। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফরহাদ হোসেন কবির ও তরিকুল ইসলাম সবুজ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মতিয়ার রহমান মতি মেম্বার। শেষে এক মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা উদীচী সংগঠন সঙ্গীত পরিবেশন করে।

ঝিনাইদহ  থেকে শাহনেওয়াজ সুমন নিয়েছে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঝিনাইদহে দু দিনব্যাপি শিশু আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম। এ মেলায় যেমন খুশি তেমন সাজো, দেশাত্ববোধক নাটক, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, লোকনৃত্য ও লোকসঙ্গীত প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সিসিমপুর প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া মেলায় শিশুদের হাতে তৈরি বিভিন্ন বিজ্ঞান যন্ত্র ও সামগ্রী নিয়ে ১৪টি স্টল দেয়া হয়েছে। স্টলে শিশুদের তৈরি মানচিত্র, বাঁশ-বেতের কাজ, সূচীশিল্প, মাটির কাজ, রিলিপ ম্যাপ, বিজ্ঞান যন্ত্রের সৃষ্টি, প্রাচীন ডাকটিকিট ও মুদ্রার প্রদর্শন করা হয়েছে। জেলা শিশু একাডেমীর আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সোমবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে।

            মহেশপুর থেকে রুহুল আমিন জানিয়েছেন,  এবারের চড়কপুজোয় একে একে ৫ জন সন্ন্যাসীকে এভাবে পিঠে বড়সি ফুঁটিয়ে চড়ক গাছে তুলে ঘুরানো হয়েছে। এবার যারা সন্ন্যাসী সেজেছে তারা হলেন শ্রী মনা কর্মকার, শ্রী প্রবীর কুমার হালদার, শ্রী মুংলা, শ্রী আনান্দ কুমার ও শ্রী ভীম কুমার। জায়গা সল্পতার কারণে আগের তুলনায় লোক সমাগম অনেক কমে গেছে। তারপরও প্রায় অর্ধ লাখ লোকের সমাগম হয়ে থাকে। মেলা উপভোগ করেন নারী পুরুষ সবাই। চড়ক পাক দেয়া হয় বিকেল ৪টা থেকে আবার সন্ধ্যার আগেই তা শেষ হয়ে যায়। মেলার সভাপতি আরো জানান, তারা এই চড়ক মেলায় সন্ন্যাসীদের পিঠে বড়সি ফুঁটিয়ে চড়ক গাছে তুলে ঘুরানোকে হিন্দু ধর্মীয় চড়কপূজা হিসেবে পালন করে থাকে। তাই প্রতি বছর ফতেপুর বকুলতলা বাজারে এ অনুষ্ঠান পালন হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ মেলা দেখতে আসে। এমনকি পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ মেলা উপভোগ করতে আসে। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন ধরনের দোকানপাসারী বসিয়ে মেলাকে জমজমাট করে তুলছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা কম। ঢাকায় না হলেও নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ দেশের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বাংলা নতুন বছর বরণে রাজধানীসহ সারাদেশেই থাকে নানা ধরনের আয়োজন। বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি হলে সব আয়োজন ভেসে যাবে বলে আবহাওয়ার দিকে এ সময় দৃষ্টি থাকে সবার। বর্তমানে সারাদেশে তাপপ্রবাহ চললেও এর মধ্যেই কালবৈশাখী ঝড় সাধারণত হয়ে থাকে।  রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৫.৫ রেকর্ড করা হয়। আজ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

            চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বালা নববর্ষ-১৪২১ উৎসব মূখর পরিবেশে  উদযাপন এবং মেলা প্রাঙ্গণে নাশকতা ঠেকানোর লক্ষ্যে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপজেলার চিৎলা, গোবিন্দহুদা ইব্রাহিমপুর, মুন্সিপুর, চাকুলিয়া, দর্শনা, বিষ্ণুপুর, লক্ষ্মীপুর, জগন্নাথপুরসহ প্রায় ১৫টি স্থানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়েছে থানাসূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, মেলা প্রাঙ্গণে কেউ যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ১০ জন এসআই ও ২৫ জন কনস্টেবল ওই নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া আমি নিজেও সর্বক্ষণিকভাবে খোজঁখবর নেব।

জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই নয়, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে সবাই পয়লা বোশেখে বর্ণাঢ্য উত্সবের আয়োজন করবে। রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ বাংলা গান, কবিতা, শোভাযাত্রা, নাচসহ নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করবেন। তবে ছায়ানট আয়োজিত বর্ষ আবাহনের অনুষ্ঠান ঢাকাবাসীর বৈশাখ উদযাপনে নিয়ে এসেছে নতুন মাত্রা। ৫০ বছর ধরে আয়োজিত তাদের এ অনুষ্ঠানের আবেদন এখনো পুরো দেশবাসীর কাছে সমানভাবেই ক্রিয়াশীল। স্বাধিকার আন্দোলনে বাঙালি সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরার মধ্যদিয়ে ছায়ানট যে প্রতিবাদী যাত্রা শুরু করেছিলো- আজো ছায়ানটের এ অনুষ্ঠানে অনিবার্য টানে লাখো মানুষের উপস্থিতি ঘটে তীব্র আবেগময়তায়। আজ ভোর ৬টা থেকেই রমনার বটমূলে শুরু হবে এ অনুষ্ঠান। নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। ৫টি বিভাগীয় শহর, ঢাকা মহানগর, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় নানা বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। নববর্ষ উপলক্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে। সকল জাদুঘর ও প্রত্নস্থান সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে (শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা টিকেটে)। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনব করা হবে।
বাংলা বর্ষের প্রচলন যেভাবে: একসময় বাংলায় নববর্ষ পালিত হত আর্তব উত্সব বা ঋতুধর্মী উত্সব হিসেবে। তখন এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর। এই ফসল তোলার সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে কর আদায়ের সুবিধার জন্যই মোঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। প্রথমে এ সন ফসলি সন নামে পরিচিত ছিলো, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়। আর বৈশাখ নামটি নেয়া হয়েছিলো নক্ষত্র ‘বিশাখা’র নাম থেকে। বিশাখা থেকে নাম হয়েছে বৈশাখ। ধীরে ধীরে পহেলা বৈশাখ সামাজিক জীবনে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে গিয়েছে। সেসময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার ও অন্য ভূ-স্বামীদের খাজনা পরিশোধ করতো। পরদিন নববর্ষে ভূ-স্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতো। এ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলাসহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। তার ছায়া পড়ে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদেও। পয়লা বোশেখের দিনে উত্সবের শুরুটা সেই আকবর আমলেই। এ দিনে তিনি মিলিত হতেন প্রজাদের সাথে। সবার শুভ কামনা করে চারদিকে বিতরণ করা হত মিষ্টি। এরপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে বর্ষবরণ উত্সব চলে আসে জমিদার বাড়ির আঙিনায়। খাজনা আদায়ের মতো একটি রসহীন বিষয়ের সাথে যুক্ত হয় গান-বাজনা, মেলা আর হালখাতার অনুষ্ঠান। আজ আর খাজনা আদায় নেই। তবে হালখাতা রয়েছে। দেশের ব্যবসায়ী মহলে হালখাতা অনুষ্ঠান মানে নতুন অর্থ বছরের হিসাব খোলা। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে নতুন একটি লাল কভারের খাতায় হিসাব খুলে নতুন উদ্যমে শুরু করা হয় ব্যবসা। সেখানে অতীতের ভুল-ভ্রান্তিগুলো পর্যালোচনা করা হয়। হালখাতা থেকে নেয়া হয় নতুন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি।