বেগমপুর প্রতিনিধি: অপসাংস্কৃতিক রুখতে আগেভাগেই বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করলেও তা মানেনি কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী স্বার্থানেষী মহল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দাবিকে পদদলিত করে বিদ্যালয়মাঠে টিনদিয়ে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। প্যান্ডেলে কি দেখানো হবে তা যেমন কারো কাছে পরিষ্কার না তেমনি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল করার হেতুই বা কি তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূর্ম্রজালের। ঘটনাটিতে এলাকার অভিভাবক এবং সুধীমহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, আজ সোমবার সারাদেশে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বাংলা নববর্ষ। এ দিনটিতে বাঙালিরা তাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য তুলে ধরতে গ্রাম থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করছে একদিনের মেলা। আর এ দিনটিকে পুঁজি করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যকি বিদ্যালয় মাঠে প্রথমবারের মতো পুতুল নাচের জন্য করা হয়েছে প্যান্ডেল। স্থানীয় কতিপয় স্বার্থানেষী মহল এ ধরনের আয়োজন করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম যেমন হবে ব্যাহত, তেমনি কোমলমতি শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। স্বার্থানেষী মহলের এ ধরনের আয়োজনের রূখতে গতপরশু শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় চত্বরে করেছে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। অভিভাবকের কয়েকজন অভিযোগ করেনে, বিদ্যালয় একটি পবিত্র স্থান। যেখানে আমাদের সন্তানেরা করে লেখাপড়া। সেই কোমলমতি শিশুদের দাবি আজ উপেক্ষিত! এদিকে আয়োজক ব্যক্তিরা মেলা করার অনুমতি পেয়েছে কি-না তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও আটোসাটো করে তৈরি করেছে প্যান্ডেল। ফলে এলাকার অভিভাবক এবং সুধীমহলের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় মাঠে এ ধরনের আয়োজনের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে সচেতনমহল। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম সোরোয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়মাঠ ব্যাবহারের কোনো অনুমতি পেয়েছে কি-না আমার জানা নেই।