স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে এসে যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসের দ্বারা এক রোগী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালের আউটডোরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি রোগী তার অভিভাবকদের জানালে তারা ও স্থানীয় লোকজন ওই চিকিৎসকে উত্তম মধ্যম দেন। এ নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যে নানা কানাঘুষা শুরু হয়েছে। তবে ডা. নাফিস এ ঘটনাকে সাজানো ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
রোগীর পরিবারের সদস্য ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক নারী তার মুখের ত্বকের সমস্যা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে গিয়েছিলেন। আউটডোর থেকে টিকিট নিয়ে তিনি যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসের চেম্বারে প্রবেশ করেন। তখন ডা. নাফিস রোগীকে বলেন যে, ত্বকের এ সমস্যার উৎপত্তি হয়েছে বুকের ত্বকে সমস্যা হওয়ার কারণে। এ কথা বলে নাফিস ওই রোগীকে বুক দেখাতে বলেন। রোগী এতে অস্বীকৃতি জানালে ডা. নাফিস জোর করে বুক দেখার চেষ্টা করেন। এসময় রোগীটি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন এবং কাঁদতে কাঁদতে বাইরে এসে ঘটনাটি তার ভাইকে জানান। পরে রোগীর ভাই স্থানীয় কিছু লোকজনের সহায়তা নিয়ে ডা. নাফিসের ওপর আক্রমণ করেন। তারা ডা. নাফিসকে চেম্বারের ভেতর বেধড়ক পেটাতে থাকেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের বক্স থেকে পুলিশ এসে ডা. নাফিসকে উদ্ধার করে। রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান মারপিটের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন ডা. নাফিস। তবে স্থানীয় কিছু ছেলে তাকে বকাঝকা করেছে বলে ডাক্তার নাফিস স্বীকার করেছেন।
এদিকে হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটের এক সহকারী অধ্যাপক জানান, ডা. নাফিস এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রোগী রাজশাহীর বাইরের হওয়ার কারণে কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু এবার স্থানীয় রোগীর সাথে অশালীন আচরণ করায় তাকে উত্তম মধ্যম দিয়েছে স্থানীয় জনগণ। তবে ডা. নাফিস তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, একটি মহল তাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে ওই নারী রোগী নাটক সাজিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ডা. নাফিস আরো বলেন, তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে, স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে বকাঝকা করেছে।