দামুড়হুদার উজিরপুরে সজনে গাছে উঠে ঘুঘু পাখির বাচ্চা পাড়তে গিয়ে বিপত্তি
বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদার উজিরপুরে সজনে গাছ থেকে ঘুঘু পাখির বাচ্চা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে মাহাবুল (১২) নামের এক মাদরাসাছাত্রের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বন্ড ইটভাটার পাশের একটি সজনে গাছে উঠে ঘুঘু পাখির বাচ্চা পাড়তে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। নিহত মাহাবুল উজিরপুর ঘাটপাড়ার মৃত ফতে আলীর ছেলে এবং কাসেমুল উলুম কওমি মাদরাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র।
প্রতিবেশীরা জানায়, উজিরপুর ঘাটপাড়ার মৃত ফতে আলীর ছেলে উজিরপুরস্থ কাসেমুল উলুম কওমি মাদরাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র মাহাবুল প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শনিবার সকালে মাদরাসায় যায় এবং মাদরাসা ছুটি শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুঘু পাখির বাচ্চা পাড়তে বাড়ির অদূরবর্তী বন্ড ইটভাটার পাশের একটি সজনে গাছে উঠে এবং একটি ডাল ভেঙে হাতে নিয়ে ঘুঘু পাখির বাচ্চা পাড়ার চেষ্টা করে। ওই সময় তার হাতে থাকা সজনের কাঁচা ডালটি গাছের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে স্পর্শ করা মাত্রই বিদ্যুতস্পৃষ্টে সে গাছের ওপরেই মারা যায়। প্রতিবেশীরা তাকে গাছ থেকে নামিয়ে করিমনযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের লাশ নিজ বাড়িতে পৌঁছুলে গোটা পরিবারে নেমে আসে শোকের মাতম। নিহত মাহাবুলের মা আনজেরা বেগম, ৩ ভাই ওহিদুল, তহিদুল, হামিদুলসহ স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। কোনো কিছুতেই মনকে বুঝ দিতে পারছিলেন না নিহত মাহাবুলের মাসহ পরিবারের লোকজন। বাদ এশা নিহতের নামাজে জানাজা শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত মাহাবুল ছিলো ৪ ভাইয়ের মধ্যে সকলের ছোট। বড় ভাই ওহিদুল ও মেজ ভাই তহিদুল ইটভাটায় কাজ করেন এবং সেজো ভাই হামিদুল নিজ বাড়ির সামনে ছোট পরিসরে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই তহিদুল দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। নিহত মাহবুলের মৃত্যু নিয়ে অবশ্য গ্রামের কেউ কেউ বলেছেন, ওই গাছ থেকে সজনের ডাটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে।