বিদ্বেষমূলক বক্তব্য : উত্তর প্রদেশের দু নেতা নিষেধাজ্ঞায়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নির্বাচনী প্রচারাভিযানে আচরণবিধি ভঙ্গ করে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ায় উত্তর প্রদেশে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির দু শীর্ষ পর্যায়ের নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতা অমিত শাহ ও সমাজবাদী পার্টির মন্ত্রী আজম খান উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না বলে ইসি জানিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভোটারদের বর্ণ ও ধর্মীয় পরিচয় বিবেচনা নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় বিজেপির অমিতের বিরুদ্ধে দুটি এবং কারগিল যুদ্ধের সাথে সাম্প্রদায়িকতা জুড়ে দেয়ায় আজম খানের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার গাজিয়াবাদের নির্বাচনী সভায় আজম খান এক দশক আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া কারগিল যুদ্ধে ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা জুড়ে দিয়ে স্পর্শকাতর বক্তব্য দেন। কেবল মুসলিম সেনা সদস্যদের অংশগ্রহণে কারগিল যুদ্ধে ভারত জয় পেয়েছিলো বলে বক্তব্যে বলেন তিনি। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দাবি, নোটিস পাঠানোর পরেও তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। বিজেপি দলীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত অমিত উত্তর প্রদেশের বিজনর ও সামলি আঞ্চলে নির্বাচনী বক্তব্যে গত বছর মোজাফফর নগরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশের মুসলমানরা হত্যা, ধর্ষণ ও হিন্দুদের অবমাননা করে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি মুসলিম প্রার্থী দেয়া দলগুলোকে ত্যাগ করার আহ্বান জানান অমিত। চরম উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবারই দু নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে অভিযুক্ত দুজনই তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন। অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমি ইসির কাছে আমার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেবো এবং সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাব। অন্যদিকে সমাজবাদীর নেতার দাবি-কোনো ব্যাখ্যা না চেয়েই ইসি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছে। নিজেকে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী দাবি করার পাশাপাশি ইসির এ সিদ্ধান্তকে অপরিপক্ক বলেও মন্তব্য করেন এ জেষ্ঠ্য রাজনীতিক। প্রতিপক্ষ অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে যেকোনো কারণে অভিযোগ গঠন হওয়ার পর ভারসাম্য রক্ষায় তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে দাবি করেন আজম।

Leave a comment