আলমডাঙ্গার ভোলারদাড়ির আলোচিত দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে হুমকি

মোমিনপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের ভোলারদাড়ী গ্রামের বহুল আলোচিত দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার  জন্য মোবাইলফোনে অজ্ঞাত স্থান থেকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। একের পর এক হুমকি ধামকির মধ্যদিয়ে অসহায় বাদীপক্ষের পরিবার প্রতিটি রাত কাটাচ্ছে চরম আতঙ্কের সাথে। প্রভাবশালী আসামিপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি এবং হুমকির মুখে বাদীপক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষিতা ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে জানান, গত পরশু সন্ধ্যারাতে মোবাইলফোনে নিজেকে আলাউদ্দিন নামে পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে মামলা তুলে নিবি এবং আপস করবি। হুমকিদাতা ব্যক্তি মোবাইলফোনে আরও বলে, যদি আপস না করিস এবং মামলা তুলে না নিস তাহলে তোদের আমরা দেখে নেব। মামলা দায়েরের পর থেকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে প্রভাবশালী আসামিপক্ষের লোকজন। মোবাইলফোনে হুমকি দেয়ার পর থেকে বাদীর পরিবারে আবারও নেমে এসেছে চরম আতঙ্ক। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে প্রভাবশালীদের একটি গ্রুপ ধর্ষক জিল্লুরকে বাচাতে দৌঁড়ঝাঁপ অব্যহত রেখেছে।

অপরদিকে এলাকার প্রতিবাদী ব্যক্তিরা এবং সচেতনমহলের বক্তব্য যে ব্যক্তি একটি কোমলমতি ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে তার সাথে আপস করার প্রশ্নই ওঠে না। নরক্ষ্যাত ধর্ষক লম্পট জিল্লুরকে আইনগতভাবে আদালতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে আরও ১০ জন শিক্ষা দিতে হবে আগামীতে এ ঘটনা কেউ যাতে ঘটাতে পারে। এলাকাবাসী ধর্ষক জিল্লুরের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ধর্ষক আসামি জিল্লুরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

উল্লেখ্য, বুড়োপাড়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার ক্ষুদ্র চাষির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গত ৪ এপ্রিল দুপুরে একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে দু সন্তানের জনক জিল্লুর রহমান ক্যানালের ওপর থেকে ক্যানালের পাশে বোরহানের পানের বরজের ভেতর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায়। পানের বরজের ভেতর নিয়ে গিয়ে লম্পট জিল্লুর ধারালো অস্ত্র হেঁসো ছাত্রীর গলায় ধরে ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। উপর্যুপরি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়।