আইপিএল থেকে সিপিএল : উপভোগের মন্ত্র সাকিবের

স্টাফ রিপোর্টার: গত জানুয়ারিতে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশে। ফিরে দেশের মাটিতে খেললেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই আবার ব্যস্ত হতে হচ্ছে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে খেলবেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। আইপিএলে এবার তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) খেলবেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টেও তিনি নিজ দেশের একমাত্র প্রতিনিধি। আজ বুধবার সকালে ঢাকা ছাড়বেন সাকিব। এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা উপভোগ করেন তিনি। এটা গর্বের একটা বিষয়, আনন্দের একটা বিষয় যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। আরো কয়েকজন করতে পারলে আরো ভালো হতো। তারপরও চেষ্টা থাকবে আগের দুইবারের চেয়ে আরো ভালো করার। গত দু বছর খারাপ খেলিনি, চেষ্টা থাকবে আরো যতোটা ভালো করা যায়। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন সাকিব। খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতেও। তাই বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নিয়ে ভালো ধারণাই আছে তার। পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। আইপিএলের সাথে তুলনা করা মুশকিল। আর অন্যান্য দেশে যেগুলো হয় সেগুলো খুব গোছানো। ওরা ঘরোয়া ক্রিকেটে এ টি-টোয়েন্টিকে খুব প্রাধান্য দেয়। ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানান সুযোগ কখনোই হাত ছাড়া করেন না সাকিব। আর কোথাও মানিয়ে নিতেও কোনো সমস্যা হয় না তার। আইপিএলে বেশিরভাগ সময় কোলকাতাতেই থাকা হয়। মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয় না। সংস্কৃতি এক, ভাষাও এক। অন্যান্য জায়গায়ও কোনো সমস্যা হয়নি। যেখানেই গেছি বাংলাদেশিরাও ছিলো। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায়ও। আর ভিন্ন এই সংস্কৃতি আমার কাছে মজাই লাগছে। সবকিছু থেকে দূরে, মনে হয়েছে চাপ মুক্ত একটা জায়গা। কখনো মনে হয়নি, আমার মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে, যোগ করেন তিনি। আমার কাছে মনে হয় বিপিএলটা হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দলে চার/পাঁচটা বিদেশি খেলোয়াড় খেলে। যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি, তাদের মধ্যেও এ চিন্তাটা থাকে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সাথে খেলছি, অনেক দেশের প্লেয়ারদের সাথে ড্রেসিং রুমে থাকছি। তখন একটা ধারণা তৈরি হয়। এ মরসুমে আলোর মুখ না দেখা টুর্নামেন্টটি ভবিষ্যতে চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন সাকিব।